শক্তি-সামর্থ্যে দুই দলের বিস্তর পার্থক্য। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের তৃতীয় দল ব্রাজিল। ১৮তম সেনেগাল। সর্বোচ্চ পাঁচ বিশ্বকাপের মালিক সেলেসাওরা। বিপরীতে ওয়ার্ল্ডকাপে আফ্রিকান দলটির সর্বোচ্চ সাফল্য কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা। ধারে-ভারে পিছিয়ে থাকলেও বর্ণবাদবিরোধী প্রচারণামূলক ম্যাচে ব্রাজিলকে শাসন করে জয় পেলো সেনেগাল। মঙ্গলবার রাতে লিসবনের হোসে আলভালাদে স্টেডিয়ামেন অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ৪-২ গোলে হারে ব্রাজিল। ম্যাচ শেষে ভিনিসিউয়স-রিচার্লিসনদের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ র্যামন মেনেজেস বললেন, সেনেগালের মোকাবিলায় অনেক কিছু শিখেছে তার দল।
ফেভারিটের তকমা নিয়ে সেনেগালের মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। ম্যাচের বয়স ১০ মিনিটে গড়াতেই লুকাস পাকেতার গোলে জয়ের সম্ভাবনাটা আরও জোরদার করে সেলেসাওরা। তবে ম্যাচে ফিরতে সময় নেয়নি সেনেগাল।
২২তম মিনিটেই হাবিব দিয়ালোর গোলে সমতা টানে আলিও সিসের দল। ৫২তম মিনিটে সেনেগালের আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে দেন মার্কিনহোস। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সেনেগাল। তিন মিনিটের ব্যবধানে ডি-বক্সের বাইরে থেকে কোনাকুনি শটে স্কোরলাইন ৩-১ করেন সেনেগাল অধিনায়ক সাদিও মানে। ৫৮তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলের প্রায়শ্চিত্ত করে ব্যবধান কমান মার্কিনহোস। এরপর ৯০+৭ মিনিটে সফল স্পটকিক থেকে ৪-২ গোলের জয় নিশ্চিত করেন মানে। ম্যাচ শেষে ব্রাজিলের কোচ র্যামন মেনেজেস বলেন, ‘সাহস রাখাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আজকের ম্যাচটা আমরা জয় দিয়ে শেষ করতে পারতাম। বড় ব্যবধানে হারলেও গোটা ম্যাচে আধিপত্য ছিল ব্রাজিলের। ৬৩ শতাংশ বল দখলে রেখে সেনেগালের গোলবারের উদ্দেশ্যে ১১টি শট নেয় সেলেসাওরা। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৫টি শট। বিপরীতে মাত্র ৩৭ শতাংশ বল দখলে রাখা সেনেগাল ৭টি শটের ৪টি লক্ষ্যে রাখে।
মেনেজেস বলেন, ‘ফুটবলে আপনি জিতবেন, না হয় শিখবেন। আমরা অনেক কিছু শিখেছি, এটা এই দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ব্রাজিলের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে।’
বিশ্বকাপের পর এনিয়ে তিন ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় হার দেখলো ব্রাজিল। বর্ণবাদবিরোধী প্রচারণার প্রথম ম্যাচে গিনিকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেয়া সেলেসাওরা গত মার্চে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে মরক্কোর কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল।
২০১৫ সালের পর এই প্রথমবার কোনো ম্যাচে ২ গোলের ব্যবধানে হারলো ব্রাজিল। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর এই প্রথম কোনো ম্যাচে ন্যূনতম ৪ গোল হজম করলো পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।