২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম জেলা পরিষদে মনোনয়ন দিতে পেরেছিল ১৫৩ আসনে। এবার তারা মনোনয়ন দিয়েছে ১৮৪ আসনে। পঞ্চায়েত সমিতিতে পাঁচ বছর আগে তাদের প্রার্থী ছিল এক হাজার ৩৪৫ জন। এবার প্রার্থী সাত হাজার ৩৮৩ জন। গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০১৮ সালে সিপিএম সাত হাজার ৭২২ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিলো। এবার সংখ্যাটি বুক ফুলিয়ে বলার মতো- চল্লিশ হাজার ৪২৯। সিপিএমের এই অগ্রগমন মানছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ও। তিনি বলছেন, রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সিপিএম দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এটা চলতে পারে না। কেন্দ্রে বিজেপি বিতারণের জন্য কংগ্রেস তৃণমূলের সাহায্য চাইবে আর রাজ্যে কংগ্রেস আঁতাত করবে সিপিএমের সঙ্গে।
আমি স্পষ্ট জানাচ্ছি সিপিএমের সঙ্গে যদি রাজ্যে কংগ্রেস যায় তাহলে তৃণমূল সর্বভারতীয় স্তরে কোনো জোটে যাবে না। বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পারছেন যে রাজ্যে বিজেপি নয়, সিপিএমই তাঁদের প্রধান শত্রু। তাই, তিনি গোড়াতেই তাদের কোমর ভেঙে দিতে চাইছেন। কিন্তু, বাস্তব চিত্রটা হলো যে গ্রামবাংলার মানুষ বুঝতে পেরেছে হিন্দি বলয়ের দল বিজেপি নয়, সিপিএমই তৃণমূলের বিকল্প হতে পারে।