কাপ্তাই প্রতিনিধি: কাপ্তাইয়ের বড়ইছড়ি-ঘাগড়া সড়কের কুকিমারা আপাই মারমার আম বাগান সংলগ্ন সড়কে একটি সিএনজি চালিত অটো টেক্সিকে (চট্টগ্রাম থ-৭৪৯৯) পুড়িয়ে দিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাত প্রায় সোয়া ৮টায় এঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়ইছড়ি সিএনজি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম। তিনি জানান, রাত সাড়ে ৮ টায় ঘটনা জানার পর সমিতির লোকজনকে নিয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। এসময় সিএনজিটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তখন ওই সিএনজিতে কোন চালক বা যাত্রীকে দেখতে পাইনি। তবে নাম্বার দেখে জানতে পারি পুড়িয়ে দেওয়া গাড়ীটি রাঙ্গুনিয়ার লিচুবাগান সমিতির মোঃ আলম প্রকাশ রকি ড্রাইভারের। তবে কে বা কারা সিএনজিটি পুড়িয়ে দিয়েছে সেটা তাৎক্ষনিক জানতে পারিনি। এদিকে, ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাত পৌনে ৯টায় ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স সহ ছুটে যান কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দিন। ওসি জানান, আমরা ঘটনাস্থলে পৌছার পর তখনও সিএনজিটি জ্বলছিল। আমরা সিএনজিটির আগুন নেভাতে সক্ষম হই। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে, পাহাড়ের কোন একটা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই ঘটনা ঘটাতে পারে। এবিষয়ে তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এবিষয়ে রাত সাড়ে ১০ টায় কাপ্তাই উপজেলা সদর বড়ইছড়ি সিএনজি স্টেশনে কথা হয় পুড়ে যাওয়া সিএনজির চালক রকির সাথে। তখন তিনি ভয়ে আতংকগ্রস্থ অবস্থায় ছিলেন। তিনি জানান, ঘটনারদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লিচুবাগান থেকে ২ জন পাহাড়ি যাত্রী আমাকে বড়ইছড়ি বাজারে যাবার জন্য ভাড়া করে। বড়ইছড়ি বাজারে যাওয়ার সাথে সাথে আমাকে পিছন দিক থেকে তারা অস্ত্র ঠেকিয়ে সামনে যেতে বলে। তারপর আমি বড়ইছড়ি-ঘাগড়া সড়ক ধরে গাড়ি চালাতে থাকি। পরে তারা আমাকে কুকিমারার আগে থামতে বলে। সেখানে আগে থেকে আরও ৩ জন ছিল। তারা আমার মোবাইল, টাকা কেড়ে নিয়ে আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে একটা পাহাড়ে নিয়ে যায়। এরপর তারা নীচে নেমে এসে সিএনজিটা চালিয়ে নিয়ে যায়। পরে আমি পাহাড় থেকে কোনমতে নেমে সড়কে অপর একটা সিএনজিতে উঠে চালককে ঘটনা খুলে বলি। ওইচালক জানান, একটা সিএনজি কুকিমারায় আম বাগান এলাকায় পুড়তে দেখেছি। তখন আমি ভয়ে লিচুবাগান চলে আসি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো কাপ্তাই থানায় কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।