বিশ্ব রক্তদাতা দিবস আজ বুধবার (১৪ জুন)। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
রক্তদাতা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য— ‘রক্ত দান করুন, দান করুন প্লাজমা, যতবার সম্ভব গ্রহণ করুন, জীবন বাঁচানোর এ অনন্য সুযোগ।’ এ বছর বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজক দেশ আলজেরিয়া।
দিবসটি পালনে সরকারি নানা উদ্যোগের পাশাপাশি এগিয়ে আসছে সাড়ে চার লক্ষাধিক সুসংগঠিত ডোনার পুল নিয়ে গঠিত কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। বুধবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে প্রথমবারের মতো দুই শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতা ও দুই শতাধিক থ্যালাসেমিক রক্তগ্রহীতার মিলনমেলা এবং বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করছে কোয়ান্টাম।
২৪ ঘণ্টা সেবাদানকারী মানবিক সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ১৯৯৬ সাল থেকে রক্তদান কার্যক্রম শুরু করে। ২০০০ সালে নিজস্ব আধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত সব নিয়ম মেনে নিরাপদ রক্তের গুরুত্বপূর্ণ উৎসে পরিণত হয়।
প্রসেসিং খরচ দেয়ার সামর্থ্য নেই- এমন অসংখ্য মানুষকে সম্পূর্ণ ফ্রি রক্ত সরবরাহ করেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। ২০২০ সালে করোনাকালে সংস্থাটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরবরাহ করেছে প্রায় ৮৫ হাজার ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক রক্তদাতা দিবস পালনের জন্য ১৪ জুন তারিখ ঠিক করা হলেও এই দিনটির আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। কারণ দিবসটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিজ্ঞানী কার্ল লান্ডস্টাইনারের নাম। এই নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছিলেন রক্তের গ্রুপ ‘এ’, ‘বি’ ও ‘এবি’। তাই তার জন্মদিনেই রক্তদাতা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।