খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন আগামী ১২ই জুন অনুষ্ঠিত হবে। শেষ সময়ের প্রচার-প্রচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে নগরীর বেশির ভাগ ওয়ার্ডে। নির্বাচন নির্বিঘ্নে সময় করতে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়। ইতোমধ্যে ৫ হাজার ৪৮৫ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোটগ্রহণ কার্যক্রম মনিটর্রিং করতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র এবং বুথের সামনে স্থাপন করা হচ্ছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ৩১টি ওয়ার্ডে স্থাপন করা প্রায় দুই হাজার ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সরাসরি মনিটর্রিং করবে সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, কেসিসিতে এ বছর ভোটার রয়েছেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রে তার ভোট প্রদান করবেন। ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সহজ করতে এসব কেন্দ্রে ১ হাজর ৭৩২টি বুথ স্থাপন করা হবে। ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ২৮৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৭৩২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৩ হাজার ৪৬৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। ইতোমধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, এবারের নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ২৮৯টি।
প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের সামনে একটি করে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থাকবে। এছাড়া ১ হাজার ৭৩২টি ভোট কক্ষের প্রতিটিতে একটি করে ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। রোববার তিনি এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা সরেজমিনে ভোট কেন্দ্রগুলো ঘুরে কোথায় ক্যামেরা স্থাপন করা হবে তা সংশ্লিষ্টদের দেখিয়ে দেন। ইতোমধ্যে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ জানান, ইতোমধ্যে ইভিএম মেশিন খুলনায় এসেছে। ইভিএম মেশিনসহ ভোট গ্রহণের সরঞ্জাম আগামী ১১ জুন বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে ভোট কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ১২ জুন ভোটগ্রহণ শেষে রাতে বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশ কেএমপি কমিশনারের: খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা সকাল সাড়ে ১০টায় সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা, বিপিএম-সেবা এঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অপরাধ পর্যালোচনা সভার প্রারম্ভে কেএমপি’র কমিশনার শ্রেষ্ঠ মামলা তদন্তকারী অফিসার, শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার, শ্রেষ্ঠ ভিআর ও পাসপোর্ট তদন্তকারী অফিসার এবং শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্টদেরকে নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন।
মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, নারী নির্যাতন এবং চুরি মামলার তদন্তের অগ্রগতি, ওয়ারেন্ট তামিলের পরিসংখ্যান, থানায় মামলা রজু ও নিষ্পত্তির পরিসংখ্যান, সাজা ও খালাস মামলার পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করা হয়।
কেএমপি কমিশনার সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের মূলতবি মামলা সমূহের দ্রুত নিষ্পত্তি, ওয়ারেন্ট তামিল হার বাড়ানো এবং মাদকদ্রব্য উদ্ধারে নির্দেশ দেন। তিনি আসন্ন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে কোন ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য নিজেদের সেফটি সিকিউরিটি বজায় রেখে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকারি দায়িত্ব পালন করার জন্য সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট ডিসিদেরকে মনিটরিং জন্য দিক-নির্দেশনা দেন। উক্ত অপরাধ সভায় উপস্থিত ছিলেন কেএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) মো. সাজিদ হোসেন; অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) মোছা. তাসলিমা খাতুন; ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন; বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম, পিপিএম-সেবা; ডেপুটি কমিশনার (ডিবি) বিএম নুরুজ্জামান, বিপিএম; ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম; ডেপুটি কমিশনার (এফএন্ডবি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু; ডেপুটি কমিশনার (ইএন্ডডি) মো. কামরুল ইসলাম; ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) মনিরা সুলতানা; ডেপুটি কমিশনার (আরসিডি) শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজীসহ অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ; সহকারী পুলিশ কমিশনারবৃন্দ; অফিসার ইনচার্জবৃন্দ এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারবৃন্দ।