বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, তারুণ্যের সমাবেশ কোন দলের সমাবেশ নয়, দলমত নির্বিশেষে এই প্রজন্মের সকলের জন্য। যারা ২০০৮ সালের পর ভোটার হয়েছে তারা এখনো ভোট দিতে পারেনি। অনেকে কেন্দ্রেও যেতে পারেনি আওয়ামী সন্ত্রাসের কারণে। আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি করে তরুণ প্রজন্মকে তাদের অধিকারর থেকে বঞ্চিত করেছে। যার কারণে বিএনপি তরুণদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এই সমাবেশের আয়োজন করছে। তরুণ প্রজন্ম যেন ভোট দিতে পারে এবং তাদের মতপ্রকাশ করতে পারে তার জন্য কাজ করছে বিএনপি। তরুণরা একটি গণতান্ত্রিক, সুখী সমৃদ্ধ ও আধুনিক বাংলাদেশ চাই। তাই নিজেদের অধিকার আদায়ে, আওয়ামী দুঃশাসন প্রতিরোধে দেশরক্ষার জন্য তরুণকে দায়িত্ব নিতে হবে। রাজপথে নেমে আওয়ামী সরকারের লুটপাট, গুম খুন ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে। তিনি আজ ৩ জুন,শনিবার বিকালে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের আগামী ১১ জুন তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সাথে বিএনপি নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ হবে এই সরকারের বিরুদ্ধে সতর্কতা বার্তা। তরুণরা এই সরকারকে সেদিন লাল কার্ড দেখাবে, এই অবৈধ সরকারের ভোট ডাকাতি, লুটপাট, গুম, খুন ও ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে। এই সমাবেশে তারুণ্যের শক্তি জাগৃত হবে অবৈধ শাসনের বিরুদ্ধে। সরকারের দিন শেষ হয়ে এসেছে, চারদিকে এই ভোট ডাকাত সরকারের পতনের ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের প্রতিটি সেক্টরে লুটপাট কায়েম করেছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, গণমাধ্যমের অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে ডিজিটাল দূর্নীতি করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে ফেলেছে। এই স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার জন্য তরুণ প্রজন্মকে জেগে উঠতে হবে। প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনুভব করেছেন ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দেশের সকল তরুন সমাজকে ঐক্যবন্ধ করতে হবে। তরুনদের যে স্পিড, তরুনদের যে শ্লোগান, তরুনদের যে কর্মতৎপরতা এই মহুর্তে শেখ হাসিরার কানে যাওয়া খুবই জরুরী। কারন যুদ্ধে যাওয়ার সময় এখন তরুনদের, এই তরুনরাই বিপ্লব ঘটাবে। দেশের বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্বরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তরুনদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। আজ দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার আওয়ামী দুঃশাসনের কাছে জিম্মি। আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে যুব ও তরুন্যকে এগিয়ে আসতে হবে। সময় কিন্তু বেশি নাই। অতি অল্প সময়ের মধ্যে তরুনদের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনর যুদ্ধে যেতে হবে। আগামী দিন তরুন্যের এই সমাবেশ শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনকে খুব বেশি বেগবান করবে বলে বিশ্বাস করি। শেখ হাসিনার দিন শেষ তরুন্যের বাংলাদেশ। সুতরাং আজকে যদি যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল আমাদের যে পথ দেখাচ্ছে, সে পথকে বিপ্লবের মাধ্যামে শেখ হাসিনার পতনের দিকে নিয়ে যেতে বিএনপি সহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন,এই সরকার তরুণদের ভোটাঅধিকার হরণ করেছে। তরুণরা ভোট কি জিনিস তা জানে না। তারা ভোটার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। পরিসংখ্যানে ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ তরুণ আজ বেকার,তাদের চাকরি নেই। ভোটাধিকার রক্ষার সংগ্রামে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী নেতাকর্মীরা এই সরকার পতন আন্দোলনে এগিয়ে আসবে। দেশকে বাঁচানোর জন্য আজকে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামতে হবে। আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে রাজপথ দখল করে এই স্বৈরাচার সরকারকে সরাতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলনরত কোনো দল এ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেবে না।আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাকে বাধ্য করা হবে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে যে সাম্রাজ্য গড়েছিল তারা, সেই সাম্রাজ্য এখন হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। জনরোষ থেকে বাঁচতে হলে অবিলম্বে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গণদাবি মেনে নিয়ে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করুন। অন্যথায় দেশে তারুন্যের গণআন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ হুমকীর সম্মুখীন।আগামী ১১ জুন চট্টগ্রামে দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশকে সফল করতে আজ আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাব। আগামী যে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে জাতীয়তাবাদী যুবদল সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবে । দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে রাজপথ দখলে নিতে যুবদল প্রস্তুত। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার মূল চেতনা গণতন্ত্র আজ নির্বাসনে। বিচার ব্যবস্থাও ধ্বংস করেছে আওয়ামীলীগ।তাই তারুণ্যের অধিকার আদায় রাজপথে নামতে হবে এই স্বৈরাচার সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকতে হবে। কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.এম জিলানীর সঞ্চালনায় তারুণ্যের সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রণকুল ইসলাম শ্রাবণ, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর,বিভাগীয়
তারুণ্যের সমাবেশের মধ্যে দিয়ে তরুণরা তাদের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করবে

সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন