সুপার টাইফুন ‘মাওয়ার’ শুক্রবার থেকে শক্তিশালী হতে শুরু করেছে। ২০২৩ সালের সবথেকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে এটি। প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমে ফিলিপাইনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে মাওয়ার। শক্তিশালী এই টাইফুনের জেরে ইতিমধ্যে গুয়াম দ্বীপে প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে।
ফিলিপাইনের স্থানীয় আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত, ঝড়ের কেন্দ্র ছিল দেশের বৃহত্তম এবং জনবহুল দ্বীপ লুজন থেকে প্রায় ৯00 মাইল পূর্বে। টাইফুন সতর্কীকরণ কেন্দ্রের মতে ঝড়টি এখন সর্বোচ্চ ১৮৫ মাইল প্রতি ঘন্টা বেগে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একবার ঝড় ফিলিপাইনের কাছে পৌঁছালে ভারী বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিধস উত্তর লুজনে আঘাত হানতে পারে। ঝড়টি দেশের অন্যান্য অংশে মরশুমি বৃষ্টিপাতকেও বাড়িয়ে দিতে পারে।
স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, সুপার সাইক্লোন টাইপ-৫ ক্যাটাগরির ভয়ানক ঘূর্ণিঝড় এটি। শেষ কয়েকবছরে এমন ঝড় আসেনি।গুয়ামের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, আগামী দুই দিনের মধ্যে ঝড়টি ১৫০ মাইল প্রতি ঘন্টা বেগে ধেয়ে এসে সুপার টাইফুনে পরিণত হবে এবং তারপর দুর্বল হতে শুরু করবে।
যেহেতু ফিলিপাইন টাইফুনগুলির নিজস্ব নাম দেয়, আর তাই পশ্চিম উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের একটি বিশাল এলাকায় ঝড়টিকে স্থানীয়ভাবে ‘বেটি’ নামে ডাকা হচ্ছে। এটি ফিলিপাইনের উত্তরে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে কিছু পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে যে এটি লুজোনের উত্তর অংশকে প্রভাবিত করবে।
তবে এই ঝড়ের প্রভাব চীন বা দক্ষিণ কোরিয়াতে পড়ার সম্ভাবনা কম। তবে ঝড়টি আরও উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হলে জাপান ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। আসলে সমুদ্র ফুঁসেই চলেছে। একের পর এক সাইক্লোন, টাইফুন, টর্নেডো আছড়ে পড়ছে আর জনজীবনকে একেবারে তছনছ করে দিচ্ছে ।
কিছুদিন আগেই প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্টি হওয়া ফ্যাবিয়েন প্রবল গতিবেগে আছড়ে পড়েছিল।