২০ বছর পর সেমিতে মিলান ডার্বি
২০০২-০৩ মৌসুম, চ্যাম্পিয়নস লীগের সেমিফাইনালে দেখা হয় ইন্টার মিলান ও এসি মিলানের। দীর্ঘ ২০ বছর পর ফের শেষ চারে মঞ্চস্থ হচ্ছে মিলান ডার্বি। আজ রাতে ‘অল ইতালিয়ান’ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মুখোমুখি হবে ইন্টার ও এসি মিলান। মিলান ডার্বিতে মাঠে নামার আগে এসি মিলানকে হুমকি দিয়ে রেখেছেন ইন্টার কোচ সিমন ইনজাঘি। তবে চাপ নিচ্ছেন না এসি মিলান কোচ স্টেফানো পিওলি।
চ্যাম্পিয়নস লীগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বেনফিকাকে ২-০ গোলে হারায় ইন্টার। দ্বিতীয় লেগ ড্র হয় ৩-৩ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ ব্যবধানের অগ্রগামিতায় সেমিতে পৌঁছে নেরাজ্জুরিরা। শেষ চারে ইন্টারের প্রতিপক্ষ এসি মিলান কোয়ার্টার ফাইনালেও জেতে ‘অল ইতালিয়ান’ দ্বৈরথে। প্রথম লেগে নাপোলিকে ১-০ গোলে হারায় তারা। আর দ্বিতীয় লেগ ১-১ গোলে ড্র হয়।
এতে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের অগ্রগামিতায় সেমিতে পৌঁছে রোজেনেরিরা। আজ রাত ১টায় সান সিরোতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এসি মিলানের মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলান। ম্যাচের আগে ইন্টার কোচ সিমন ইনজাঘি বলেন, ‘ছেলেদের জন্য আমি আনন্দিত। তাদের ভূয়সী প্রশংসা প্রাপ্য, কারণ তারা সেরা মানের ফুটবল খেলা দেখিয়ে চলেছে।’
ইনজাঘি বলেন, ‘এটা (মিলান ডার্বি) আমাদের দুই দলের জন্যই খুব কঠিন ম্যাচ হতে চলেছে। দীর্ঘ সময় পর আমরা সেমিতে মুখোমুখি হচ্ছি। উভয় দলই এটা চেয়েছিলাম। আমরা তাদের বিপক্ষে সেরা অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামব।’
ইনজাঘির ভাষ্য, তারকায় ঠাসা ইন্টার মিলানের স্কোয়াড। এতে চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচের জন্য দল নির্বাচনে তাকে মধুর বিড়ম্বনায় পড়তে হবে। ইনজাঘি বলেন, ‘দলের গভীরতা নিয়ে কখনই জটিলতায় পড়তে হয়নি আমাকে। আমাদের আক্রমণভাগ, মাঝমাঠ কিংবা রক্ষণে প্রত্যাশা মতো খেলোয়াড় রয়েছে। আমি শান্ত মাথায় একাদশ গঠন করব। আশা করি, দল নির্বাচনে আমাকে (মধুর) জটিলতায় পড়তে হবে।’
মিলান ডার্বিতে ফেভারিট নির্বাচন কঠিন বিষয়। তবে অতীত পরিসংখ্যানে এসি মিলানের চেয়ে এগিয়ে ইন্টার মিলান। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৬৮ বার দেখা হয়েছে দুই দলের। এতে ২৭ ম্যাচ জিতেছে ইন্টার। ২২ ম্যাচে জয় পায় এসি মিলান। বাকি ১৯টি ড্র। তবে চ্যাম্পিয়নস লীগের ইতিহাস এসি মিলানের অনুপ্রেরণার কারণ হতে পারে। ইউসিএলের মঞ্চে দুই দলের মোট ৪ ম্যাচ খেলে দুই দল। এতে ২ জয় এসি মিলানের। বাকি ২টি ড্র হয়। ‘হেড টু হেড’ পরিসংখ্যান এক পাশে রেখে চ্যাম্পিয়নস লীগ ইতিহাস ঘাটলে এসি মিলানের আধিপত্য চোখে পড়বে। প্রতিযোগিতাটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭টি টাইটেল জিতেছে রোজেনেরিরা। সর্বোচ্চ শিরোপা রিয়াল মাদ্রিদের, ১২টি। তালিকার আটে থাকা ইন্টার মিলানের শিরোপা সংখ্যা ৩টি। এসি মিলান কোচ স্টেফানো পিওলির আত্মবিশ্বাসের কারণ এই অতীতের সাফল্যমণ্ডিত ইতিহাস। ম্যাচের আগে তিনি বলেন, ‘এটি (মিলান ডার্বি) আসলে আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে না। আমরা অনেক বেশি উজ্জ্বীবিত।’
পিওলি বলেন, ‘ক্লাবের ইতিহাস আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। আমাদের প্রত্যয় দিয়েছে। ছেলেদের মধ্যে পূর্বসুরীদের ডিএনএ বিদ্যমান। আমরা এমন চাপ সামলাতে অভ্যস্ত। আমরা জানি, ঠিক কীভাবে বিজয়ী হতে হয়।’