কাতারে ইতিহাস রচনা করে আর্জেন্টিনা। ৩৬ বছরের অপেক্ষা শেষে বিশ্বকাপ জেতে আলবিসেলেস্তেরা। আর্জেন্টাইন রূপকথার রূপকার লিওনেল মেসি। বিশ্ব জয়ে একের পর এক সেরার পুরস্কার উঠছে এই সুপারস্টারের হাতে। বিশ্বকাপের সেরা হওয়া মেসি জিতেছেন ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার। বিশ্ব জয়ের সুবাদে এবার আরও একটি বড় স্বীকৃতি পেলেন সাতটি ব্যালন ডি’অরের মালিক। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড জিতলেন মেসি। অধিনায়কের সঙ্গে বর্ষসেরা দলের খেতাব জিতেছে আর্জেন্টিনাও।
সোমবার ফ্রান্সের প্যারিসে লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বিতর্কিত সৌদি আরব শেষে সেদিনই পিএসজির অনুশীলনে ফিরেছিলেন মেসি। গুঞ্জন আছে মেসিকে দেয়া দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে আনতে পারে পিএসজি।
অনুশীলন শেষ করে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দেন মেসি। এর আগে ২০২০ সালে যৌথভাবে ফর্মুলা ওয়ান কিংবদন্তি লুইস হ্যামিল্টনের সঙ্গে এই পুরস্কার জিতেছিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। ফুটবলারদের মধ্যে একমাত্র মেসিই জিতেছেন এই পুরস্কার। শুধু তাই নয়, ব্যক্তিগত ও দলীয় পুরস্কারজয়ী প্রথম ক্রীড়াবিদও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক।
লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড পেয়ে উচ্ছ্বসিত মেসি বলেন, ‘আমার আগে যেসকল কিংবদন্তিরা লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন, সেই নামগুলো দেখছিলাম। শুমাখার, উডস, নাদাল, ফেদেরার, বোল্ট, হ্যামিল্টন, জকোভিচ… অবিশ্বাস্য সব তারকাদের তালিকায় আমি আছি। এটা বিশেষ এক সম্মান, বিশেষ করে এই বছর লরিয়াস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান প্যারিসে হওয়ায়। যারা ২০২১ সালে এখানে আসার পর আমাকে সাদরে গ্রহণ করেছে।’
সতীর্থদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেসি বলেন, ‘আমি সব সতীর্থকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। শুধু জাতীয় দলের নয়, পিএসজির সতীর্থদেরও। এর কিছুই আমি একা অর্জন করতে পারতাম না। এদের সঙ্গে সবকিছু ভাগ করে নিতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।’
লরিয়াস পুরস্কারের জন্য মনোনীত তালিকায় মেসির সঙ্গে লড়াই করেছেন আরও পাঁচজন বিশ্ব বিখ্যাত ক্রীড়াবিদ। তারা হলেন- গোল্ডেন স্টেট ওরিয়র্সের বাস্কেটবল তারকা স্টিফেন কারি, সুইডিশ পোল ভল্টার আর্মান্দ দুপ্লান্তিস, ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে, স্প্যানিশ টেনিস কিংবদন্তি রাফায়েল নাদাল ও রেড বুলের ডাচ ফর্মুলা ওয়ান চালক ম্যাক্স ভেস্তারপেন।
ক্রীড়াঙ্গনের সম্মানজনক এই পুরস্কারের নারী বিভাগের বর্ষসেরা হয়েছেন জ্যামাইকান স্প্রিন্টার শেলি-অ্যান ফ্রেজার-প্রাইস। ‘কামব্যাক অব দ্য ইয়ার’ হয়েছেন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসে প্রিমিয়ার লীগ মাতানো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডেনিশ মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। ১৯৯৯ সালে শুরু হওয়া লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ খেতাব জয়ী তারকা সুইডিশ সুপারস্টার রজার ফেদেরার। ৫ বার পুরস্কারটি জিতেছেন এই টেনিস কিংবদন্তি।