রাউজানে পুকুরে হাতজালে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির সাকার ফিস
শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের রাউজানে উপজেলার একটি পুকুরে বিরল প্রজাতির সাকার মাউথ ক্যাট ফিস মাছ পাওয়া গেছে। মাছটির মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত ডোরাকাটা দাগ।’ স্থানীয়ভাবে এটি রাক্ষুসে মাছ হিসেবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ডাঃ রাজা মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাশ্ববর্তী পুকুরে মাছটি ধরা পড়ে। স্থানীয় যুবক মোহাম্মদ ইরফানুল হক (৩৫) বলেন, সকালে হাত জাল নিয়ে বাড়ির পুকুরে জাল ফেলি। জাল টেনে আনার পর সাকার ফিস নামের মাছটি জালে ধরা পড়ে।মাছটির সারা গায়ে সারি সারি ছোট ছোট কাটা এবং ছোট-কালো রঙের বিন্দু বিন্দু ছাপ রয়েছে।হাতজালে সাকার ফিস ধরা পড়ার পর বিরল প্রজাতির এট মাছটি দেখতে বাড়ির লোকজন ভিড় জমায়। মাছটি ১৪০০ গ্রাম ওজনের। এটি ২০ ইঞ্চি লম্বা। পরে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শে মাছটি মাটিতে ফুতে ফেলা হয়। স্থানীয়রা জানান, পুকুরের সাথে বিলের সংযোগ থাকায় হালদা নদীর জোয়ারের পানির সাথে মাছটি পুকুরে প্রবেশ করতে পারে। এই বিষয় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পিযুষ প্রভাকর বলেন, ‘ সাকার মাউথ ক্যাট ফিস’ নামে পরিচিত বিরল প্রজাতির এই মাছ বিভিন্ন সময়ে রাউজানের পুকুর জলাশয়ে হাতজালে ধরা পড়ে। মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম হাইপোসটোমাস প্লিকোসপোমাস। এই মাছ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। মাছটি পুকুরের অন্যান্য মাছ খেয়ে ফেলে। এটি অক্সিজেন ছাড়া দুই-তিনদিন বেঁচে থাকে। মাছটি কোথাও পাওয়া গেলে কেটে মাটিতে ফুতে ফেলার পরামর্শ দেন।”
রাউজানের কদলপুরে কৃষকের গোয়ালঘর চারটি গরু চুরি
রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মীরবাগিচার পশ্চিম পাশে মোহাম্মদিয়া সমাজ এর বাসিন্দ্বা আবদুল মোতালেব প্রকাশ কালুর গোয়ালঘরের দরজার তালা ভেঙ্গে গোয়ালঘর থেকে ৬টি গরু বের করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ব গরু চোর দলের সদস্যরা । চোরের দলের সদস্যরা একটি গাভী, একটি ষাড় দুটি বাছুর নিয়ে যায় । দুটি গরু চোরের দলের সদস্যদের কাঁছ থেকে দৈৗড়ে পালিয়ে যায় ।গত ৩ মে বুধবার দিবাগত রাতে এই চুরির ঘটনা সংগঠিত হয় । কৃষক আবদুল মোতালে প্রকাশ কালু বলেন, সকালে গতকাল ৪ মে বৃহস্পতিবার সকালে গোয়াল ঘর থেকে গরু বের করতে গেলে গোয়াল ঘরের দরজার তালা ভাঙ্গা দেখতে পায় । গোয়াল ঘরের গরু না দেখে গরু খোজার সময়ে গোয়াল ঘরের অদুরে দুটি গরু পাওয়া যায় । চারটি গরু এলাকায় তল্লাসী করে কোন হদিস পায়নি । এ ব্যাপারে রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন এর কাছে জানতে চাইলে গরু চুরির ঘটনার বিষয়ে কোন অভিযোগ দেয়নি কেউ। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি ।
রাউজানের কদলপুরে কৃষি জমি ভরাট করে পাকা ভবন নির্মানের হিড়িক
রাউজানের কদলপুরে কৃষি জমি ভরাট করে পাকা ভবন নির্মানের হিড়িক পড়েছে । রাউজান উপজেলার ৮নং কদলপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সরকারী নির্দে শনাকে অমান্য করে কৃষি জমি ভরাট করে নির্মান করা হচ্ছে পাকা ভবন । কদলপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ফেদা গাজীর বাড়ীর পাশে জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রোকেয়া বেগম কৃষি জমি ভরাট করে পাকা ভবন নির্মান করা হচ্ছে । রোকেয়া বেগম এর কাছে কৃষি জমি ভরাট করে পাকা ভবন নির্মান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, রোকেয়া বেগম বলেন আমি অনুমতি নিয়ে কৃষি জমিতে পাকা ভবন নির্মান করছি । কার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছেন জানতে চাইলে রোকেয়া বেগম তা এড়িয়ে যায় । অনুমতি নেওয়ার কোন কাগজ পত্র রয়েছে কিনা জানতে চাইলে, রোকেয়া বেগম মৌখিক ভাবে অনুমতি নিয়েছেন বলে জানান । কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ভট্টপাড়া এলাকায় সীতাকুন্ড উপজেলার কুমিরা এলাকার বাসিন্দ্বা অর্পুব মজুমদার এলাকার বাসিন্দ্বা দীপাংকর মজুমদার এর কাছ থেকে কৃষি জমি ক্রয় করে কৃষি জমিতে পাকা ভবন নির্মান কাজ করছেন । এলাকার বাসিন্দ্বা দীপাংকর মজুমদার বলেন, অর্পৃব মজুমদার আমার কাছ থেকে ৫শতক কৃষি জমি ক্রয় করেছেন । কৃষি জমিতে ঘর নির্মান প্রসঙ্গে অর্পুব মজুমদারকে ফোন করে জানতে চাইলে, অর্পুব মজুমদার বলেন, আমি জমি ক্রয় করে কদলপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অনুমতি নিয়ে পাকা ভবন নির্মান করছি । এ প্রসঙ্গে স্থানীয় মেম্বার মোঃ আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে, মেম্বার আলমগীর বলেন, অর্পব মজুমদার যে জমি ক্রয় করেছে তা কৃষি জমি নয় । ঐ জমি খীরা জমি । খীরা জমিতে ঘর নির্মান করার জন্য চেয়ারম্যান অনুমতি দিয়েছে । কদলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে কদলপুর ভট্টপাড়ায় অর্পুব মজুমদার ঐ জমিতে মাটি ভরাট করে ঘর নির্মান করার জন্য । কৃষি জমি ভরাট করার সংবাদ পেয়ে রাউজানের সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির নির্দেশে অর্পুব মজুমদারের ভরাট করা মাটি কৃষি জমি থেকে তুলে নিয়ে যায় । কদলপুর ওসমানিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে হাফেজ বজলুর রহমান সড়কের পাশে কৃষি জমি ভরাট করে পাকা ঘর নির্মান করার জন্য নির্মান সামগ্রী এনে মজুদ করেছে এক ব্যক্তি । কদলপুর ইউনিয়নের কালকাতরপাড়া, শমশের পাড়া, দক্ষিন শমশের পাড়া, পশ্চিম কদলপুর, ভোমর পাড়া, মানচি পাড়ায় কৃষি জমি ভরাট করে ঘর নির্মানের হিড়িক পড়েছে । কদলপুর ফেদা গাজী বাড়ির পাশে কৃষি জমিতে পাকা ভবন নির্মান করা প্রসঙ্গে স্থানীয় মেম্বার মমতাজের কাছে জানতে চাইলে, মেম্বার মমতাজ বলেন, রোকেয়া বেগম নামের ঐ মহিলা উপর থেকে নির্দেশ নিয়ে কৃষি জমিতে পাকা ভবন নির্মান করছে । এ ব্যাপারে কদলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী বলেন, আমি দেড় বৎসর ধরে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় কোন কৃষি জমি ভরাট করে ঘর নির্মান করার অনুমতি দেয়নি । পশ্চিম কদলপুর এলাকায় কৃষি জমি ভরাট করার বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে জানিয়েছি ।