বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে খেলার সময় ‘গোলমেশিন’ উপাধি পান আর্লিং ব্রট হালান্দ। গোল করার দারুণ দক্ষতার কারণে নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের এমন নাম। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে যোগ দিয়ে আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠেছেন হালান্দ। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে মৌসুমজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছেন তিনি। গোল পেয়েছেন প্রায় প্রত্যেক ম্যাচে। গড়েছেন অনেক রেকর্ড। বুধবার রাতেও একটি কীর্তি অর্জন করেন সিটির ‘নাম্বার নাইন’। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে লীগ টেবিলের শীর্ষে ওঠে ম্যান সিটি। সেই ম্যাচে একটি গোল করে ২৮ বছরের পুরনো রেকর্ড ভাঙেন হালান্দ। বনে যান প্রিমিয়ার লীগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা।
দারুণ অর্জনে হালান্দকে গার্ড অব অনার দিয়েছে সিটিজেনরা।
বুধবার রাতে ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লীগের চলতি মৌসুমে নিজের ৩৫তম গোল পান হালান্দ। এতে ইংলিশ কিংবদন্তি অ্যান্ডি কোল এবং অ্যালান শিয়েরারকে পেছনে ফেলে ইপিএলের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল দেয়ার কীর্তি অর্জন করেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। ৩৪টি করে গোল করে এতদিন রেকর্ডটির যৌথ মালিক ছিলেন কোল এবং শিয়েরার।
বৃটিশ দৈনিক দ্য মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, রেকর্ড গড়ায় ম্যাচ শেষে হালান্দকে গার্ড অব অনার দেয় সিটিজেনরা। কোচ পেপ গার্দিওলাসহ কোচিং স্টাফের সব সদস্য ও খেলোয়াড়রা দুই পাশে দাঁড়িয়ে হালান্দকে পিঠ চাপড়ে অভিনন্দন জানান। সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা জানান, ‘এটা ওর প্রাপ্য ছিল। সে বিশেষ ধরনের স্ট্রাইকার। ওকে নিয়ে আমরা খুব খুশি। একদিন লীগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটাও ভেঙে যাবে, সম্ভবত ওই ভাঙবে।’
হালান্দকে গার্ড অব অনার দেয়া প্রসঙ্গে গার্দিওলা বলেন, ‘এ ধরনের বিশেষ উপলক্ষ এলে সেটা যে বিশেষ কিছু তা দেখাতে হয়।’
দারুণ অর্জন এবং ক্লাব কর্তৃক গার্ড অব অনার পেয়ে বেজায় খুশি আর্লিং হালান্দ। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য বিশেষ রাত, বিশেষ মুহূর্ত। আমি খুবই খুশি এবং গর্বিত।’
এরপর মজার ছলে হালান্দ বলেন, ‘গার্ড অব অনারের সময় সবাই যেভাবে পিঠ চাপড়াচ্ছিল, ব্যথাও লেগেছে। এখন একেকটা করে ম্যাচের দিকে তাকাতে হবে। দল ভালো করছে, আমিও খুশি।’