জেলে বন্দি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ বছর বয়সী লাশন থম্পসন। সেই জেলেই তিনি মারা গেছেন। কিন্তু তার পরিবারের আইনজীবী অভিযোগ করেছেন তাকে জেলে আটকে রাখার ফলে নানারকম কীটপতঙ্গ এবং ছারপোকা ‘জীবন্ত খেয়ে’ ফেলেছে। নিউ ইয়র্ক পোস্টের খবর অনুযায়ী, তার পরিবার এখন এ ঘটনার ফৌজদারি তদন্ত দাবি করছে। একই সঙ্গে ওই জেলটি বন্ধ করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পুলিশি তথ্যমতে লাশনকে ২০২২ সালের ১২ই জুন আটলান্টা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ফুলটন কাউন্টি জেলে। সেখানে মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ক উইংয়ে রাখা হয় তাকে। কারণ, কর্মকর্তারা যাচাই করে দেখতে পান লাশন মানসিকভাবে অসুস্থ। একই বছর ১৩ই সেপ্টেম্বর নিজের সেলের ভিতর অচেতন অবস্থায় তাকে দেখা যায়।
তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ফলে মৃত ঘোষণা করা হয় তাকে।
তার পরিবারের আইনজীবী মাইকেল ডি, হারপার বলেছেন, মিস্টার থম্পসনকে ওই নোংরা সেলে রাখার তিন মাস পরে তাকে কীটপতঙ্গে এবং ছারপাকায় জীবন্ত খেয়ে ফেলেছে। যখন তার মৃতদেহ পাওয়া গেল, তখন জেলখানার একজন কর্মকর্তা তার সিপিআর টেস্ট করানোর দাবি প্রত্যাখ্যান করলেন। কারণ, তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। যে সেলে থম্পসনকে রাখা হয়েছিল, সেখানে আক্রান্ত একটি পশুকেও রাখার উপযুক্ত নয়। থম্পসনের পরিণতি এটা হওয়া উচিত নয়। তার মৃত্যুর জন্য কাউকে না কাউকে জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি ফুলটন কাউন্টি জেলের ভিতরের নোংরা পরিস্থিতির বর্ণনা করে বলেন এসব কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন যে, জেলখানার স্টাফরা দেখতে পেয়েছেন থম্পসনের অবস্থার অবনতি হচ্ছে। কিন্তু তারা কেউ তাকে কোনো সাহায্য করেননি। ওই জেলের ভিতরের ছবিতে দেখা যায়, কি দুর্দশা ওই সেলের। এর ভিতরে ময়লা আবর্জনায় ভরা। আছে ধ্বংসস্তূপ ছড়ানো ছিটানো। মেডিকেল পরীক্ষায় থম্পসনের শরীরে কোনো ক্ষতের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে ছারপোকার কামড় থেকে সংক্রমণ হয়েছে। তবে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ধারণ করে বলা হয় নি।
ফুলটন কাউন্টি শেরিফের অফিস থেকে চ্যানেল ২ একশন নিউজকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে থম্পসনের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে জেলের ভিতর কাজ শুরু হয়েছে। ৫ লাখ ডলার ব্যয় করা হচ্ছে ছারপোকা, উঁকুন এবং অন্যান্য পরজীবী ধ্বংসে।