গত বছরের সহিংস বিক্ষোভের সময় গ্রেপ্তার হওয়া ২২ হাজার ৬২৮ জনের শাস্তি মওকুফ করে দিয়েছেন ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ২২ বছর বয়স্ক কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ইরান। দেশটির বড় শহরগুলোতে কয়েক মাস ধরে চলতে থাকে আন্দোলন। এই আন্দোলনের সময় সহিংসতার অপরাধে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেইন মোহসেনি এজেই সোমবার ঘোষণা করেছেন যে, সুপ্রিম লিডার খামেনি প্রায় ২৩ হাজার বিক্ষোভকারীকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এজেই জানিয়েছেন, যাদের সাজা মওকুফ করা হয়েছে তারা কোনো বড় অপরাধে যুক্ত ছিল না। তারা কোনো গুপ্তচর কিংবা কোনো নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সদস্যও নয়, তাই তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে গত কয়েক মাসে খামেনি প্রায় ৮৩ হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইসলামিক বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে যদিও আগে থেকেই গণক্ষমার প্রচলন রয়েছে দেশটিতে। তবে এ বছর যে পরিমাণ সাজা মওকুফ হয়েছে তা নজিরবিহীন। যারা শুধু আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন কিন্তু কোনো সহিংসতা, চুরি বা হত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না তাদেরকেই মাফ করে দেয়া হয়েছে।
দেশটির বিরোধী সংগঠনগুলো কারাবন্দীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিল।
এছাড়া দেশটির ওপরে ছিল আন্তর্জাতিক ব্যাপক চাপও। ইরান বারবার অভিযোগ করেছে যে, দেশটির ওই আন্দোলন এত শক্তিশালী হয়েছে শুধুমাত্র ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের কারণে। ইসরাইলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে বহু মানুষকে গ্রেপ্তারও করেছে দেশটি। ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠিন সাজার বিধান রয়েছে। প্রায়ই এই অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেয়া হয়।