চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ছোট কুমিরায় ইউনিটেক্সের তুলার গুদামের আগুন ২৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ তথ্য জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম দুলাল।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিস, সেনা, নৌ ও বিমান ও বিজিবির ২২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজ শুরু করে। আজ বেলা ১১টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা যায়, উপজেলার ছোট কুমিরার হিঙ্গরিপাড়ায় ২ একর জায়গার জুড়ে ইউনিটেক্সের তুলার গুদামে আগুন লাগে। টিনের চালায় ওয়ের্ডিং মেশিন দিয়ে সংস্কার কাজ করার সময় আগুনের সূত্রপাত হয়ে পরে তা পুরো গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট কাজ শুরু করে। একটানা ৯ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে না পারায় পরে রাতে চট্টগ্রাম সেনাবাহিনীর ৪টি ইউনিট, নৌবাহিনীর ৪টি ইউনিট ও বিমান বাহিনীর ২টি ইউনিট সহ মোট ১৮টি ইউনিট এক যুগে কাজ শুরু করে। পরে বিজিবির ৪টি ফায়ার ফাইটিং ইউনিটও যোগ দেয়।
এদিকে এ ঘটনা তদন্তে স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক বদিউল আলমকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ডিআইজি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিটিএমসি প্রতিনিধি, বিস্ফোরক পরিদপ্তর প্রতিনিধি, বিটিএমইএ প্রতিনিধি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান শনিবার রাত ১১টার দিকে তদন্ত কমিটি গঠনের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক আব্দুল হামিদ জানান, তুলার গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় এবং পানির সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাত যত বেড়েছে চলছিল আগুনের তীব্রতাও তত বেড়েছে।
লক্ষ লক্ষ টন পানি ঢালার পরও আগুন নিয়ন্ত্রনে না আসায় আমরা হতবাক হয়েছি। এ গুদামের পাশে ৩টি গ্রাম রয়েছে। গ্রামবাসীরা রাত জেগে তাদের বাড়িঘর পাহারায় ছিলেন। এ ঘটনায় গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।