রাউজানে খালে নেই পানি, ভুগভস্থ পানির স্তর নেমে গেছে নিচে গভীর নলকুপ থেকে পানি উঠেছেনা সেচ সংকটে মরছে তরমুজ, বাঙ্গী ক্ষেত, বোরো ধান
শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ রাউজানে খালে নেই পানি, ভুগভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় গভীর নলকুপ থেকে পানি উঠেছেনা সেচ সংকটে মরছে তরমুজ, বাঙ্গী ক্ষেত, বোরো ধান। বৃষ্টি না হলে তরমুজ, বাঙ্গী, বোরো ধানের ফলন বিপর্যয় হওয়ার শংকা করছে কৃষকেরা । রাউজান উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত সর্তা খাল, ডাবুয়া খাল, খাসখালী খাল, কলমপতি খাল, রাউজান খাল, মুখছড়ি খাল, লাঠিছড়ি খাল, বুড়িসর্তা খাল, হাতীজোড়া খাল, হরানাথ ছড়া খাল, ভোমর ঢালা খাল, মঙ্গলছড়ি খাল, বেরুরিয়া খাল, কেউচিয়া খাল, হৃদ খাল, ত্রিপুরা সুন্দরী খাল, কাল চাইন্দা খাল, মগদাই খাল, কাগতিয়া খাল, কাঠাল ভাঙ্গা খাল, ডোমখালী খাল, উভলং খাল, হালদা নদী,কর্ণফুলী নদী সমুহের দু পাড়ে শুস্ক মৌসুমে সেচের পানি ব্যবহার করে কৃষকেরা বোরো ধানের চাষাবাদ ও তরমুজ, বাঙ্গী ক্ষেত সহ সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদ করেন । খালগুলোর মধ্যে ডাবুয়া খালের পানি দিয়ে রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের বৃকবানপুর, বৃন্দাবনপুর, জানিপাথর, বানরাস, ডাবুয়া ইউনিয়নের পুর্ব ডাবুয়া, হাসান খীল, রোয়াইঙ্গা বিল, কেউকদাইর, চিকদাইর পাঠান পাড়া, সুলতান পুর কাজী পাড়া,সন্দ্বীপ পাড়া এলাকায় কৃষকেরা বোরো ধান, তরমুজ, বাঙ্গী ক্ষেত সহ সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদ করলে ও খালে পানি না থাকায় কৃষকেরা সেচ সংকটে পড়েছে । বোরো ধানের চাষাবাদের জমিতে তরমুজ, বাঙ্গী ক্ষেত সহ সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদের জমিতে সেচের পানি দিতে ব্যর্থ হয়ে তরমুজ ও বাঙ্গী ক্ষেতের ক্ষতি হচ্ছে । সর্তা খালের পানি দিয়ে হলদিয়া ইউনিয়নের হচ্চার ঘাট, হলদিয়া, গর্জনিয়া, উত্তর সর্তা, ডাবুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ডাবুয়া, লাঠিছড়ি, গনি পাড়া, চিকদাইর দক্ষিন সর্তা, নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহ নগর নতুন হাট, গহিরা ইউনিয়নের দলই নগর, এলাকায় কৃষকেরা বোরো ধানের চাষাবাদ ও তরমুজ বাঙ্গী ক্ষেত সহ বিভিন্ন প্রকারের সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদ করেন। খালে পানি না থাকায় সর্তার খালের উপর অংশের দুপাড়ের ফসলী জমিতে রোপন করা বোরো ধান, তরমুজ বাঙ্গী ক্ষেতের মধ্যে সেচের পানি সরবরাহ করতে ব্যর্ত হওয়ায় বোরা ধান তরমুজ,বাঙ্গী ক্ষেতের ক্ষতি হচ্ছে । রাউজানের খাসখালী খাল এর পানি দিয়ে রাউজানের হিংগলা, মেলুয়া, কলমপতি, দক্ষিন হিংগলা, ঢেউয়া পাড়া, শরীফ পাড়া, হাজী পাড়া, লেলা্গংারা এলাকায় ফসলী জমিতে বোরো ধান ও তরমুজ বাঙ্গী, সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদ করেছে কৃষকরা । খালে পানি না থাকায় সেচ সংকটের কারনে কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসলী জমির ক্ষেত মরছে । রাউজান উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হালদা নদী, কর্ণফুলী নদী ও হালদা নদী ও কর্ষফুলী নদীর সাথে সংযুক্ত নিচু এলাকার খাল গুলোতে জোয়ারের পানি দিয়ে বোরো ধান, তরমুজ, বাঙ্গী ক্ষেত সহ সব্জি ক্ষেতের চাষাবাদের জমিতে সেচ দেওয়া হলে ও উপর এলাকায় খাল গুলো পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী এলাকা থেকে আসা পানি প্রবাহ না থাকায় চরম সেচ সংকট সৃষ্টি হয়েছে । প্রচন্ড তাপদাহে সেচের পানি না পেয়ে বোরো ধান তরমুজ বাঙ্গী সহ সব্জি ক্ষেতগুলো মরছে । রাউজানের ডাবুয়্ াইউনিয়নের রোয়াইঙ্গা বিল, কেইকদাইর, পুর্ব ডাবুয়া, কেইকদাইর এলাকায় একশত একরের বেশী পরিমান ফসলী জমিতে শুস্ক মৌসুমে তরমুজ ও বাঙ্গী ক্ষেতের চাষাবাদ করে কৃষকেরা । কৃষকের তরমুজ ও বাঙ্গী ক্ষেতে ফলন তরমুজ ও বাঙ্গী ধরেছে পুচুর পরিমাণ । ডাবুয়া খালে পানি প্রবাহ না থাকায় তরমুজ বাঙ্গী ক্ষেতে সেচের পানির অভাবে তরমুজ ও বাঙ্গী ক্ষেত মরছে । ডাবুয়ার কৃষক নাজিম উদ্দিন বলেন, পুর্ব ডাবুয়া ও রোয়াইঙ্গা বিল এলাকায় শুস্ক মৌসুমে অর্ধ শতাধিক কৃষি শ্রমিক দিয়ে ৬০ একর জমিতে উন্নত জাতের তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদ করেন । তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদের শুরুতেই ডাবুয়া খালে পানি প্রবাহ থাকায় সেচ সংকট হয়নি । তরমুজ ক্ষেতে তরমুজের ফলন এসেছে এই সময়ে ডাবুয়া খালে পানি প্রবাহ না থাকায় তরমুজ ক্ষেতে সেচের পানি সরবরাহ করতে পারছিনা । সেচ সংকটের কারনে তরমুজ ক্ষেতের ক্ষতি হচ্ছে । অপরদিকে প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে ভুগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় গভীর নলকুপ গুলোতে পানি উঠছেনা । বৃষ্টি না হলে রাউজানে বোরো ধান তরমুজ ও বাঙ্গী ক্ষেত সহ সব্জির ফলন বিপর্যয় হওয়ার আশংকা করছে এলাকার কৃষকেরা । রাউজান উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দিদারুল আলম বলেন, ডাবুয়ায় বিপুর পরিমান জমিতে তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদ করা হয়েছে । সেচ সংকটের কারনে তরমুজ ক্ষেতের ক্ষতি হচ্ছে । রাউজান উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজিব কুমার সুশীল বলেন, রাউজানে এবৎসর ৬০ হেক্টর জমিতে তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদ করা হয়েছে। তার মধ্যে ডাবুয়ায় ৫৮ হেক্টর জমি। রাউজানে ২৮ হেক্টর জমিতে বাঙ্গী ক্ষেতের চাষাবাদ করছে কৃষকেরা । রাউজানের কৃষকেরা বোরো ধান, তরমুজ, বাঙ্গী ক্ষেত সহ সব্জি ক্ষেত বাচাঁতে বৃষ্টির জন্য প্রতিনিয়ত আল্লাহুর রহমতের অপেক্ষায় রয়েছে ।
প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে প্রতারনা দুই প্রতারককে আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করল জনতা
রাউজান উপজেলার বিনাজুরী ইউনিয়নের লেলাঙ্গারা গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী সুমি আকতার অর্থের প্রযোজনে তার ১ভরি ৪ আনা ওজনের স্বর্ণলংকার গত এক বৎসর পুর্বে রাউজান উপজেলা সদরের মুন্সির ঘাটাস্থ শাহ লতিফ মাকের্টের নিচতলায় বসুন্দ্বরা জুয়োলর্সে বন্দক দিয়ে দাদন হিসাবে টাকা নেয় । গত ৯ মার্চ সুমি আকতার তার বন্দ্বক দেওয়া স্বর্নলংকার বন্দক থেকে নেওয়ার জন্য বসুন্দ্বরা জুয়েলার্সে গেলে বসুন্দ্বরা জুয়োলর্সের মালিক অমিত দর বন্দ্বক দেওয়া স্বর্নলংকার নিতে হলে আসল টাকা বাদ দিয়ে ৩২ হাজার টাকা সুদ দাবী করে। প্রবাসীর স্ত্রী সুমি আকতার তার সুদের টাকা না দিয়ে আসল টাকা দিয়ে স্বর্ণলংকার নিতে চাইলে, অমিত ধর সুমি আকতারকে কতগুলো র্স্বণলংকার হাতে দিয়ে বলে এই স্বর্নলংকার অন্য জুয়ালারী দোকানে বন্দ্বক দিয়ে টাকা নিয়ে আসতে বলেন । সুমি আকতারের হাতে তুলে দেওয়া স্বর্ণলংকার বন্দ্বক দিয়ে টাকা নিয়ে আসলে সুমি আকতারের বন্দক দেওয়া স্বর্ণলংকার সুদের টাকা না নিয়ে ফেরৎ দেবে বলে জানান অমিত ধর । সুমি আকতার অমিত ধরের দেওয়া স্বর্নলংকার নিয়ে রাউজান উপজেলা ডাকঘওে পাশে গীতা শ্রী জুয়েলার্সে বন্দ্বক দিতে গেলে গীতা শ্রী জুয়োর্লস ঐ স্বর্ন পরিক্ষা করে দেথতে পায় এ স্বর্নলং কার নকল স্বর্ন । পরে সুমি আকতার তার পরিবারের সদস্য ও আত্বিয় স্বজনদের একথা জানালে । সুমি আকতারের পরিবারের সদস্যরা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দ্বাদের নিয়ে অমিত ধরকে আটক করে গতকাল ১০ মার্চ দুপুরে। ।অমিত ধরকে আটক করার পর অমিত ধরকে জনতার হাত থেকে ছাড়িয়ে নিতে বাপ্পা গেলে তাকে ও আটক করে জনতা । অমিত ধর ও ব্প্পাা দুজনেই মিলে জুৃয়েলারী ব্যবসার আড়ালে নকল স্বর্ণ বিক্রয় করে মহিলাদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে প্রতরানা করে আসছে বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন । জনতা অমিত ধর ও বাপ্পাকে পরে রাউজান থানা পুলিশের হাতে সোর্পদ করে। রাউজান থানার এস আই শাহাদাৎ হোসেন বলেন, জনতা ধরে নকল স্বর্ণ বিক্রয়কারী দু প্রতারকেকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে । তদন্ত করে অমিত ধর ও বাপ্পার বিরুদ্বে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।