পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ফাইজ হামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বুধবার এ কথা জানিয়েছেন। এদিকে পিএমএল-এন দলের নেতা মরিয়ম নওয়াজ অবসরপ্রাপ্ত ওই জেনারেলের কোর্ট মার্শালের আহ্বান জানিয়েছেন।
খবরে বলা হয়, মরিয়ম তার পিতা নওয়াজ শরীফের সরকারের পতন এবং এনএবি দুর্নীতি মামলায় তাদের দুই জনকে যুক্ত করার জন্য ফাইজ হামিদকে দায়ী করেছেন। তবে এমন অভিযোগের বিষয়ে এখন মুখ খুলেছেন ফাইজ হামিদও। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেন সেনাবাহিনীর প্রধান। তার পদ থেকে এ ধরণের পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব নয়।
এরপরই বুধবার এক প্রেস কনফারেন্সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা বলেন, ফাইজ হামিদ ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তারা দুর্নীতি করেছেন এবং অবৈধভাবে সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এখনই এই মামলা নিয়ে কিছু বলা যথাযথ হবে না। ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) এ তদন্ত করছে।
কোনো কিছু পাওয়া গেলে তা প্রকাশ্যে আনা হবে।
এদিকে সদ্য চালু হওয়া একটি গণমাধ্যমের কাছে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মরিয়ম নওয়াজ তার পিতার সরকারের পতন এবং ২০১৭ সালের এনএবি দুর্নীতি মামলায় তাদের পিতা-কন্যাকে যুক্ত করার জন্য সাবেক আইএসআই ডিজি’র দিকে আঙুল তোলেন। বিরোধী নেতা ইমরান খান বারবার সাবেক পাক সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে মরিয়ম নওয়াজ বলেন, তিনি এখন শুধু জেনারেল হামিদের শাস্তি নিশ্চিতের মধ্য দিয়েই উদাহরণ সৃষ্টি করতে চান।
মরিয়ম বলেন, আমি আদালতে জেনারেল হামিদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম। তখন তিনি আইএসআই প্রধান ছিলেন। আমাকে এবং নওয়াজ শরীফকে শাস্তি দেয়ার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। আমার কাছে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ ছিল। তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শওকত আজিজ সিদ্দিকীর কথা উল্লেখ করে বলেন যে, পাক গুপ্তচর সংস্থা তাদের পছন্দ মতো রায় নিশ্চিতে বিচারকদের কিনে নেয়ার চেষ্টা করেছিল।
জেনারেল হামিদের কথিত অসাংবিধানিক কাজের জন্য মরিয়ম নওয়াজ যে কোর্ট মার্শালের দাবি করেছেন সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় রানা সানাউল্লাহর কাছে। উত্তরে তিনি বলেন, বিষয়টি নির্ধারণ করতে পারবে শুধু জিএইচকিউ। রাজনীতিবিদরা দাবি করতে পারেন এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করতে পারেন। তবে একজন প্রাক্তন সামরিক অফিসারের কোর্ট মার্শাল বেসামরিক কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না।