আপিলের মাধ্যমে গৃহকর কমিয়ে দিচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আর ছাড়কৃত পরিমাণে কর দিতে পেরে খুশি মনে ফিরছেন গৃহকরদাতারা। মঙ্গলবার চসিক রাজস্ব বিভাগের ৮নং সার্কেলের রিভিউ শুনানিতে দেখা গেল এমন দৃশ্য।
শুনানিতে ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা মেয়রের কাছে আপিল নিয়ে আসেন। মেয়র জানতে চান, কে কত কর দিতে চান। এরপর মেয়র করদাতা যা কর দিতে চাচ্ছেন সেই পরিমাণ টাকা এবং করদাতার দলিলাদি দেখে স্বল্প কর নির্ধারণ করে দেন। কাউকে আবার আগের পরিমাণ গৃহকরই নির্ধারণ করে দেন মেয়র। করছাড় পেয়ে সন্তুষ্টচিত্তে ঘরে ফেরা করদাতারা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান৷
এসময় চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, কর নির্ধারণী আইন প্রণয়নের ক্ষমতা কেবল সরকারের। তবে চট্টগ্রামের মানুষরা আমাকে ভোট দিয়ে মেয়র বানিয়েছে তাই গৃহকর নিয়ে যাতে তারা ভোগান্তিতে না পড়ে সেজন্য আমি আপিল শুনানীর মাধ্যমে আমার মেয়রের ক্ষমতাবলে সর্বোচ্চ ছাড় দিচ্ছি। নাগরিকদের বলতে চাই, কারো গৃহকর নিয়ে অভিযোগ থাকলে আপিল বোর্ডে আসুন। আপনাদের সাধ্যমত কর কমিয়ে দিব। অন্য কোন নাগরিক সমস্যা নিয়ে অভিযোগ থাকলে তাও জানান, আমি ঠিক করার চেষ্টা করব।
“স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিগুলোর গুজবে কান দিবেন না। আপনারা কর দিন। আপনাদের করের টাকা আপনাদের নগরীর উন্নয়নেই ব্যয় হবে। সবাইকে নিয়ে আমি নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়ব। চট্টগ্রামের হারানো ইমেজ আমি আপনাদের নিয়ে পুনরুদ্ধার করব।”
আপিল বোর্ডে আসা করদাতাদের মেয়র ফুল দিয়ে বরণ করেন। এরপর মেয়র করদাতাদের বিভিন্ন অভিযোগ ও পরামর্শ গ্রহণ করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেন।
গৃহকরে ছাড় পেয়ে ৩৮ নং ওয়ার্ডের জাহেদুল ইসলাম বলেন , ফেসবুকে গৃহকর বৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট দেখে চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু আপিল শুনানিতে আসলে মেয়র আমার গৃহকর এক টাকাও না বাড়িয়ে আগের মতোই রেখে দেন।
“সবাইকে বলবো কোন গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে আপিল করুন। কোন ঘুষ বা তদবির ছাড়াই যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে মেয়র গৃহকর কমিয়ে দিচ্ছেন। মেয়র নিজে সমাধান করে দিলে অযথা আন্দোলন-ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই।”
এসময় রিভিউ বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মদ চৌধূরী, জিয়াউল হক সুমন, আবদুল বারেক, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শাহানুর বেগম, চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ , জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ, রিভিউ বোর্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার ইয়াছিন আরাফাত, প্রকৌশলী আজাদ হোসেন।