ছোট নৌকায় করে ইংলিশ চ্যানেল পার হয়ে বৃটেনে ঢুকে পড়ছে হাজার হাজার শরণার্থী। এবার সেই অবৈধ অভিবাসীদের আটকাতে যুক্তরাজ্য একটি নতুন আইন আনছে। খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার আইনটি আনা হবে। রবিবার সংবাদপত্রের সাথে কথা বলার সময়, যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বলেছেন “যথেষ্ট হয়েছে আর নয়।” কয়েক মাস ধরে, ব্রিটিশ সরকার অবৈধ অভিবাসী সমস্যা মোকাবেলায় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। ইংলিশ চ্যানেল জুড়ে বিপজ্জনকভাবে মানুষের পারাপারের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাপিয়ে গেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন -‘বৃটিশ জনগণ এর সমাধান চায়। আমাদের অবৈধ অভিবাসীদের নৌকা এবার থামাতে হবে।” গত দুই বছরে ইংলিশ উপকূলে আসা অভিবাসীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আগেই জানিয়েছিলেন যে অভিবাসী ইস্যুটি মোকাবেলা করা ছিল তাঁর অগ্রাধিকার। রয়টার্সের মতে, সুনাকের দল ভোটে পিছিয়ে পড়ছে এবং প্রধানমন্ত্রী এমনকি তার নিজের দলের আইন প্রণেতাদের কাছ থেকে একটি উপযুক্ত সমাধানের জন্য চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন। সানডে রিপোর্ট অনুসারে, প্রস্তাবিত নতুন আইনে উল্লেখ থাকবে – ”ছোট নৌকায় যারা দেশে আসবে তাদের সকলের আশ্রয়ের দাবিগুলি অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
তারপর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের নিরাপদ তৃতীয় দেশে স্থানান্তরিত করা হবে।” গত বছর, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন হাজার হাজার অভিবাসীকে ৪,০০০ মাইলেরও বেশি দূরে রুয়ান্ডায় পাঠানোর চুক্তিতে সম্মত হন। রুয়ান্ডাকে বৃটিশ হাইকমিশনার দুর্বল মানবাধিকার রেকর্ডের জন্য অভিযুক্ত করেছে। বিষয়টি নিয়ে ২০১৫ সালে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে একটি খোলা চিঠির মাধ্যমে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। রয়টার্সের মতে, চুক্তির অধীনে প্রথম অভিবাসী স্থানান্তরের ফ্লাইটটি গত বছরের জুনে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তবে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের (ইসিএইচআর) শেষ মুহূর্তের নিষেধাজ্ঞার জেরে এটি বাস্তবায়িত হয়নি। চুক্তির বৈধতা নিয়ে লন্ডন হাইকোর্টে পর্যালোচনা করা হয়েছিল। নীতিটি মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং এমনকি রাজা চার্লস দ্বারা নিন্দিত হয়েছিলো। হাইকোর্ট পরবর্তীতে ডিসেম্বরে এটিকে বৈধ বলে রায় দেয়। তবে বিরোধীরা সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে চাইছে। বল শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে গড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং তাই আইনটি প্রণয়ন হতে কয়েক মাস বিলম্ব হতে পারে।