বিশ্বকাপ চলাকালে বেফাঁস মন্তব্য করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ব্রাত্য হন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আর চুক্তি থাকাকালে সিংহভাগ সময় বেঞ্চে কেটেছে পর্তুগিজ সুপারস্টারের। সিআরসেভেনকে বসিয়ে একাদশ সাজাতেন ইউনাইটেড কোচ টেন হাগ। রোনালদোর মতো হেভিওয়েট তারকাকে বিবেচনা না করায় কি মানসিক চাপে পড়তেন ডাচ কোচ? মোটেও না। টেন হাগ জানালেন, তখনও ভালোই ঘুম হতো তার।
গত ৭ই আগস্ট ব্রাইটনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ২০২২-২৩ মৌসুম শুরু করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বিশ্বকাপের আগে গত ১৩ই নভেম্বর সবশেষ ম্যাচ খেলে ইউনাইটেড। এর মাঝে ১৫টি প্রিমিয়ার লীগ ম্যাচ খেলে ম্যানইউ। ১০টিতে খেলার সুযোগ হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। তার বেশির ভাগই বদলি হিসেবে। ১০ ম্যাচে মোটে ৫২০ মিনিট খেলার সুযোগ হয় রোনালদোর।
মূলত দলের ভারসাম্য রক্ষার্থেই রনকে একাদশের বাইরে রাখেন কোচ এরিক টেন হাগ।
শুধু রোনালদোকে নয়; তখনকার ম্যানইউ অধিনায়ক ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়েরকেও বেঞ্চে বসিয়ে রাখেন ডাচ কোচ। এমন বড় নাম দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে সফলই হন টেন হাগ। অন্তত পরিসংখ্যান তাই বলছে। আর সফল না হলে যে, সমালোচনার মুখে পড়তে হতো, সে কথা জানা আছে টেন হাগের। ম্যানইউ কোচ বলেন, ‘আসলে আমার কাছে কারণ ছিল। যা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। আমি জানতাম এর ফল কী হতে পারে। নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারত। ফুটবলে এটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু আমি ভীত ছিলাম না। আমার ঘুম খুব ভালো হয়। এমনকি সেই দিনগুলোতেও ভালোই ঘুমিয়েছি।’ টেন হাগ বলেন, ‘খেলোয়াড় এবং ক্লাবের সাফল্যের জন্য আমার সিদ্ধান্তÍ নিতে হয়। এটা আমার কাজ। আমার দায়িত্ব এগুলো। আমার সিদ্ধান্তের পরিণাম আমাকেই মোকাবিলা করতে হয়।’
এখন পর্যন্ত সফলই এরিক টেন হাগ। ডাচ কোচের অধীনে ইতোমধ্যে কারাবাও কাপ জিতেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের তিনে থাকা রেড ডেভিলরা রয়েছে ইউরোপা লীগের দৌড়েও।