রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার সৈন্যদের ভয়াবহ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শোনা যাচ্ছে রাশিয়ান সামরিক বাহিনী ইউক্রেনীয়দের উপর “গণ আত্মঘাতী হামলার” আদেশ পাওয়ার পর থেকে পদত্যাগ করতে শুরু করেছেন। রাশিয়ার আগ্রাসনের একটি গোপনীয় মূল্যায়ন থেকে উঠে এসেছে -সামরিক বাহিনীর দুর্বলতা, ব্যর্থতা, অযোগ্যতা, মৃত্যু এবং আঘাতে জোর ধাক্কা খেয়েছেন পুতিন।
ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দারা দাবি করেছেন যে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু হওয়ার মাত্র এক বছরে প্রায় দেড় লক্ষ রাশিয়ান সেনার মৃত্যু হয়েছে। এক পশ্চিমা বিশেষজ্ঞ তিনটি পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপ রাশিয়ার প্রতিবেশীদেরই হুমকির মুখে ফেলেছে। দ্বিতীয় দৃশ্যকল্পটি হল – ইউক্রেনীয় সামরিক অগ্রগতি যা দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়েছে সেইসঙ্গে পশ্চিমের দ্বারা ইউক্রেনে ব্যাপক অস্ত্র সরবরাহের গতি বেড়েছে। তৃতীয়টি হল যে “রাশিয়ার সামরিক স্থবিরতা এবং পুতিনের যুদ্ধে বিশ্বাস হারানোর কারণে” পুতিনের আক্রমণ অভিযান আরো জোরদার হবে।
সর্বশেষ মূল্যায়ন, যা পশ্চিমা সরকারগুলিকে সরবরাহ করা হয়েছে সেটি হলো -“ রাশিয়ানরা এবার গণ আত্মঘাতী হামলার দিকে এগোচ্ছে। প্রমাণিত হয়েছে যে রাশিয়ানরা এখনও পর্যন্ত কার্যকরভাবে একটি সম্মিলিত অস্ত্র হামলা সংঘটিত করতে পারেনি, বা যুদ্ধে অগ্রগতির জন্য পর্যাপ্ত লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করতে পারেনি। এই যুদ্ধ রাশিয়ান সেনাবাহিনীর ক্ষমতার বাইরে বলে মনে হচ্ছে। আর তাই অ-প্রশিক্ষিত পদাতিক সৈন্যদের আত্মঘাতী হামলার দিকে ঠেলে দেয়ার কৌশল নিয়েছে পুতিন। ”প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে রাশিয়ার বিমান বাহিনীও হাল ছেড়ে দিয়েছে।
মস্কো যুদ্ধের মাত্র এক বছরেরও বেশি সময়ে ২০০ টিরও বেশি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে, অনেকগুলি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নামানো হয়েছে।