তাইওয়ানের কাছে আবারও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি নতুন করে ৬১৯ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। মূলত এই চুক্তির অধীনে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের জন্য শত শত মিসাইল পাঠানো হবে তাইওয়ানে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অনুমোদনের কারণে ওয়াশিংটন ও বেইজিং-এর মধ্যেকার উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাবে। এ খবর দিয়েছে সিএনএন।
খবরে জানানো হয়, বুধবার কংগ্রেসকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এতে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং মিসাইল বিক্রির কথা বলা হয়েছে। ‘তাইওয়ান রিলেশন অ্যাক্ট’ নামে যে আইন রয়েছে তার সঙ্গে এই অস্ত্র বিক্রি সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা। তিনি জানিয়েছেন, তাইওয়ান এই অস্ত্রের বিনিময়ে অর্থ দেবে। অর্থাৎ ইউক্রেনের মতো বিনামূল্যে অস্ত্র পাবে না দেশটি।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন এই মিসাইল কমিউনিস্ট সামরিক বাহিনীর (চীন) উসকানি থেকে আমাদের আকাশসীমাকে রক্ষা করবে। পাশাপাশি এটি আমাদের প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করবে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীন যদি তাইওয়ানে কোনো আক্রমণ চালায় তাহলে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলো হবে নিজেকে রক্ষায় তাইওয়ানের প্রধান হাতিয়ার। ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্টদের কাছে হেরে তাইওয়ান দ্বীপে আশ্রয় নেয় চীনের গণতন্ত্রপন্থীরা। তবে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এখনও দ্বীপটিকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে। প্রায়ই তাইওয়ানের আসাশসীমা লঙ্ঘন করে যুদ্ধবিমান পাঠায় চীন। তবে একে যুদ্ধের উসকানি হিসেবে দেখে তাইওয়ান।