একজন স্প্যানিশ ব্যক্তি টিকটক লাইভস্ট্রিম চলাকালীন তার স্ত্রীকে চড় মেরেছিলেন। ভুক্তভোগী পুলিশে অভিযোগ দায়ের না করলেও ওই ব্যক্তিকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। উত্তরাঞ্চলীয় শহর সোরিয়ার একটি আদালত পুরুষটিকে নারীর প্রতি সহিংস আচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয় স্ত্রীর ৩০০ মিটারের মধ্যে ওই ব্যক্তি আসতে পারবেন না এবং স্ত্রীর সাথে তিন বছরের জন্য যোগাযোগ করতে পারবেন না। টিকটক “লাইভ” চলাকালীন ঘটনাটি ঘটে। এটি একটি রিয়েল-টাইম প্রতিযোগিতা যেখানে স্ট্রিমাররা বিজয়ী নির্ধারণ করেন। ২৮ জানুয়ারির প্রথম দিকে একজন নারী এবং তিনজন পুরুষের মধ্যে এই ব্যাটেল শুরু হয়। স্পেনে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে লোকটি তার স্ত্রীর মুখে এত জোরে থাপ্পড় মারলেন যে তাঁর স্ত্রীর মাথা ঘুরে যায় এবং তিনি কাঁদতে থাকেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, “আসামী অপমান করার লক্ষ্যে হাজার হাজার মানুষের সামনে নিজের স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করেছেন।” আদালত রায়ে জানিয়েছে -”লিঙ্গ সহিংসতার অপরাধে ভিকটিম থেকে অভিযোগের প্রয়োজন নেই। অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে গেলে অভিযুক্তের শাস্তি হবে।
”থাপ্পড়ের লাইভ সম্প্রচার করা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত। যদিও ওই নারী তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে অস্বীকার করেছিলেন এবং বিচার চলাকালীন তার বিরুদ্ধে কোনো অবস্থান নিতে অস্বীকার করেছিলেন। তবে আদালত বলেছে যে অভিযুক্ত এবং তার স্ত্রীর মধ্যে বিরোধের কারণে অতীতে পুলিশ দম্পতির বাড়ি গিয়ে গিয়ে তদন্ত করে এসেছে। ডান এবং বাম উভয় দল স্প্যানিশ সরকারকে গার্হস্থ্য সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইকরতে আহ্বান জানিয়েছে। ২০০৪ সালে পার্লামেন্ট অপ্রতিরোধ্যভাবে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা বিশেষভাবে দমন করার জন্য ইউরোপের প্রথম আইন অনুমোদন করে। এটি বিশেষ আদালত স্থাপন করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান করেছে। এছাড়াও একটি হটলাইন সেট আপ করেছে যা ব্যবহারকারীদের ফোন বিলে প্রদর্শিত হবে না।