সাতের দশক শেষ, আটের দশক শুরুর মুহূর্ত। দুই তরুণ নয়াদিল্লির মান্ডি হাউসের দূরদর্শনের নিউজরুমে ঢুকলো। বলল, বিজ্ঞানসম্মত উপায় সেফলোজি দিয়ে তারা ভোটের আগাম ফলাফল গণনা করে দিতে পারে। সেদিন দুই তরুণ সাংবাদিককে দায়িত্ব দিয়েছিলো দূরদর্শন। ভারতে শুধু নয়, এই উপমহাদেশে বুথফেরত সমীক্ষার জনক প্রণয় রায় ও বিনোদ দুয়া। সেই বুথফেরত সমীক্ষা আজও চলছে। বুথফেরত সমীক্ষার ওপর যদি আস্থা রাখা যায় তাহলে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নিজেদের অবস্থানকে শক্ত জমির ওপর দাঁড় করাচ্ছে। নাগাল্যান্ডে আবার ক্ষমতায় ফিরছে এনডিপিপি-বিজেপি জোট।
সবকটি বুথফেরত সমীক্ষায় তারা শতক যোজন পিছনে ফেলে দিয়েছে প্রতিপক্ষদের। মেঘালয়ে এনপিপি-বিজেপি জোট এগিয়ে থাকলেও আট থেকে ১৩টি আসন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কিং মেকারের ভূমিকা নিতে পারে। ত্রিপুরায় বুথফেরত সমীক্ষা নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছে না।
ইন্ডিয়া টুডে-এক্সেস মাই ইন্ডিয়া তাদের বুথফেরত সমীক্ষায় বিজেপিকে টু-থার্ড মেজরিটি নিয়ে সরকার গড়ার প্রধান দাবিদার বলে উল্লেখ করেছে। কিন্তু টাইমসনাও-এলটিজি রিসার্চের বুথফেরত সমীক্ষায় বিজেপির আসন ২১ থেকে ২৭ এর মধ্যে রাখলেও বাম-কংগ্রেস জোটকে দিয়েছে ১৮ থেকে ২৪ আসন। টিপরা মোথা পার্টি এক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৭ আসন নিয়ে সরকার গঠনে বড় ভূমিকা নেবে বলে টাইমসনাও এর ধারণা। জি-ম্যাট্রিজের সমীক্ষাও টিপরা মোথাকে সরকার গড়ার কাণ্ডারি বলছে। তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী বিজেপি পাচ্ছে ২৯ থেকে ৩৫ আসন। বাম-কংগ্রেস জোট ১৩ থেকে ২১ আসন এবং টিপরা মোথা ১১ থেকে ১৬টি আসন। অর্থাৎ আবার সেই টিপরা মোথার দিকে ভাগ্য নির্দেশের ভার। সব রাজনৈতিক দলই এই বুথফেরত সমীক্ষাকে উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, দুই মার্চ ফলাফল ঘোষণার দিন সব হিসেব উল্টে যাবে।