ইরান ১৬৫০ কিলোমিটার পাল্লার ক্রুজ মিসাইল তৈরি করেছে। দেশটির রেভ্যুলুশনারি গার্ড বাহিনীর শীর্ষ কম্যান্ডার শুক্রবার এই কথা জানিয়েছেন। ইউক্রেন যুদ্ধে ইরানি ড্রোন ব্যবহার নিয়ে এমনিতেই উদ্বিগ্ন পশ্চিমারা। নতুন এই ক্রুজ মিসাইল এখন ইরান নিয়ে তাদের উদ্বেগকে আরও বৃদ্ধি করবে। নতুন এই মিসাইল দিয়ে ইরান থেকে ইসরাইলের যে কোনো স্থানে হামলা চালানো সম্ভব হবে। এ খবর দিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।
খবরে জানানো হয়, রেভ্যুলুশনারি গার্ড বাহিনীর এরোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমিরালি হাজিজাদেহ ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে নতুন এই মিসাইলের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের ১৬৫০ কিলোমিটার পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি এরই মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারা যুক্ত করা হয়েছে। ওই ক্রুজ মিসাইলের একটি ফুটেজও প্রকাশ করে টেলিভিশন। নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে গোটা ইসরাইল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা এবং ইউরোপীয় দেশগুলির উদ্বেগকে পাত্তা না দিয়েই ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি, বিশেষ করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম প্রসারিত করেছে। তেহরান বলছে, কর্মসূচিটি সম্পূর্ণরূপে প্রতিরক্ষামূলক।
গত নভেম্বরে পেন্টাগন বলেছিল যে, ইরান একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে।
এদিকে ইরানের ধৈর্য পরীক্ষা করার ব্যাপারে ইউরোপকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাজিজাদেহ। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তিনি বলেন, ইউরোপ মহাদেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ইরান ইচ্ছাকৃতভাবে তার ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। কিন্তু ইরান চাইলে মার্কিন বিমানবাহী রণতরীতে হামলা চালাতে পারে। শুধু মাত্র ইউরোপীয়দের প্রতি সম্মান জানিয়ে ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা সীমিত রেখেছে। হাজিজাদেহ বলেন, আমরা আশা করব ইউরোপীয়রাও তাদের সম্মান বজায় রাখবে।