পশ্চিম তীরে অভিযান চালিয়ে ১১ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ৮০ জন। অঞ্চলটির নাবলুস শহরে বুধবার সকালে ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলি শোনা যায়। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।
বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, বুধবার সকালে ইসরাইলি সৈন্যরা নাবলুসে প্রবেশ করলে তাদের টার্গেট করে গুলি চালায় সশস্ত্র বন্দুকধারীরা। এরপরই উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এসময় একাধিক বিস্ফোরণ শোনা যায়। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলছে, হামলাকারীরা আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার করে ফলে তারা তাদেরকে হত্যায় বাধ্য হয়। তবে হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭২ বছর বয়সী আদনান সাবে বারা তাদের একজন। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে রাস্তায় রুটির ব্যাগের পাশে তার মরদেহ পড়ে আছে।
এই এলাকাটি অত্যন্ত ব্যস্ত বাজার এলাকা। ৬১ বছর বয়সী আবদুল হাদি আশকার এবং ১৬ বছর বয়সী তরুণ মোহাম্মদ শাবানকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আনান শওকত আনাব নামের আরেক বৃদ্ধ টিয়ার-গ্যাসের কারণে দম আটকে মারা গেছেন।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী লায়ন্স ডেন টেলিগ্রামে জানিয়েছে, অভিযানের সময় তাদের ছয় সদস্য নিহত হয়েছে। গত মাসে ফিলিস্তিনের জেনিন শহরে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী অভিযান চালায়। তাতে পাঁচ সদস্য নিহত হয় সংগঠনটির। ২০০৫ সালের পর সবথেকে বেশি ইসরাইলি অভিযানের ঘটনা ঘটছে এ বছর। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অন্তত ৮০ জন বুধবার গুলিবিদ্ধ হয়েছে। নাবলুসের পাঁচটি ভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
সিনিয়র ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা হুসেইন আল-শেখ এই ঘটনাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এই হামলার নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একজন মুখপাত্র বলেন, এই বিপজ্জনক উস্কানির জন্য ইসরাইলের সরকার দায়ী। এ ঘটনা গোটা অঞ্চলকে উত্তেজনা এবং বিস্ফোরণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে যে, তারা অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে শত্রুদের ক্রমবর্ধমান অপরাধের উপর নজর রাখছে এবং তাদের ধৈর্য্য শেষ হওয়ার পথে।