আজ সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ ইমরান ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ এমদাদ হোসাইন চৌধুরী নেতৃত্বে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেনঃ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ এর সহ সভাপতি শেখ মোঃ আলাউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোরুল আজিম খসরু, সাদ্দাম হোসেন, কামরুল হাসান, গিয়াস উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিফাত, জাকির হোসেন রিপন, আরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌঃ আকিব রেজা হাসান, অর্থ সম্পাদক সৈয়দ খালেদ বিন মোস্তফা, আইন বিষয়ক সম্পাদিকা শর্মী সেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা তাহমিনা আক্তার পান্না, উর্মি আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সোহাগ মোল্লা সোহাগ, ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান, সম্মানিত সদস্য হাফিজুর রহমান মুন্না। পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন-১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। মায়ের ভাষাকে রক্ষার জন্য রাজপথে আন্দোলনে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে প্রাণদান করে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা। সালাম-বরকত-রফিক-শফিক-জব্বার আরও কত নাম না-জানা সেসব শহীদের আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আমরা ফিরে পাই আমাদের প্রাণের ভাষা বাংলা। জাতিসংঘের স্বীকৃতির ফলে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে সারা বিশ্বে। দিনটি ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেসকোর ৩০তম অধিবেশন বসে। ইউনেসকোর সে সভায় একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব পাস হয়। ফলে পৃথিবীর সব ভাষাভাষীর কাছে একটি উল্লেখযোগ্য দিন হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারি স্বীকৃতি পায়। বিশ্বের দরবারে বাংলা ভাষা লাভ করে বিশেষ মর্যাদা। ঠিক পরের বছর ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে পৃথিবীর ১৮৮টি দেশে এ দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন শুরু হয়। একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পেছনের ঘটনা জানতে হলে একটু পেছনে ফিরে তাকাতে হবে। মহান ভাষা আন্দোলনের দিন হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারি প্রতিবছরই মর্যাদার সঙ্গে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে পালিত হয়ে আসছে। এমনকি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরা রাজ্যে ‘বাংলা ভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে এ দিনটি। ২১ ফেব্রুয়ারির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করার আগে, দিনটি মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে দাবি শোনা যায়। তবে এ বিষয়ে প্রথম সফল উদ্যোক্তারা হলেন কানাডার বহুভাষিক ও বহুজাতিক মাতৃভাষা-প্রেমিকগোষ্ঠী। এ গোষ্ঠী প্রথমে ১৯৯৮ সালের ২৯ মার্চ জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ নামে একটি দিবস ঘোষণার প্রস্তাব উপস্থাপন করে। অনেক ত্যাগ ও রক্তে বিনিময়ে অর্জিত এই মহান মাতৃভাষা বাংলা, তাই বাংলা ভাষার সঠিক ইতিহাস আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
ভাষা শহীদের প্রতি চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের নেতৃবৃন্দের শ্রদ্ধা নিবেদন

সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন