ঢাকাই ছবির সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাসের সঙ্গে আরেক স্ত্রী শবনম বুবলীর দ্বন্দ্বটা পুরনো। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তা চরম আকার ধারণ করেছে। বিষয়টি নিয়ে পাল্টাপাল্টি তারা জবাব দিচ্ছেন সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এমনকি মামলার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। শাকিব ও অপুর সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে বুবলীর সঙ্গে শাকিবের সম্পর্কের শুরুর কারণে, এমনটাই শোনা গেছে সবসময়। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে এসেছেন বুবলী। তিনি এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছিলেন, শাকিব ও অপুর বিয়ের খবর তিনি জানতেনই না। সে সময়ই সম্পর্কে জড়ান শাকিবের সঙ্গে। এদিকে সম্প্রতি অপু বিশ্বাস এক সাক্ষাৎকারে বুবলীকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, উনি যা যা করছেন বা করেন, তা তো আমার সন্তান দেখছেন। আমার সন্তানের তো বোঝার বয়স হয়ে গেছে।
এখন জয়ের বয়সীরা অনলাইনে লেখাপড়া করে। আমি নাম বলবো না, একজন তো একটা ভিডিও ছেড়েছেন। জয়ও সেই ভিডিও দেখেছে। সুতরাং এসব ভিডিওতে তার ওপরও তো প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু আমি তো সেই কাজটি করবো না। আমি আমার সন্তানকে সঠিক পথে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবো। আমি মনে করি, আমার পারিবারিক শিক্ষা মানুষকে সম্মান দেয়া, ক্ষতি করা নয় এবং আমি সেটা করার চেষ্টা করি। কে কাকে ছোট করছে, সেই বোধবুদ্ধি আমার আছে। আমি অনেকদিন থেকেই এসব বিষয় নিয়ে মিডিয়া এড়িয়ে চলতে চেয়েছি। কিন্তু সিনেমার মানুষ হওয়ায় মিডিয়ার সামনে কথা বলতে গিয়ে টুকটাক তা সামনে চলে আসে। অপুর এমন মন্তব্যের বিপরীতে বিস্ফোরিত হলেন বুবলী। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, কারও নোংরা ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে আমাকে নিয়ে বা আমার ব্যক্তিজীবন নিয়ে কেউ কোনো বেফাঁস মন্তব্য করলে বা কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার চেষ্টা করলে, তার বা তাদের বিরুদ্ধে আমি দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কারণ, আমি দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিছুদিন পর পর যে ব্যক্তি এসব নোংরা খেলা শুরু করে বা যাদের দিয়ে করায়, তাদের সমস্ত কিছু সোশ্যাল মিডিয়া, পত্রিকা এবং ইউটিউবে রয়েছে; যা ডকুমেন্ট হিসেবে যথেষ্ট এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে অপু-বুবলীর ভক্তদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, অপু বিশ্বাসের সঙ্গে শাকিব খানের সম্পর্ক এখন বেশ ভালো। শাকিবের বাসায়ও যাতায়াত বেড়েছে অপুর। অনেকে তাদের আবার এক হওয়ার সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে একে অপরকে নিয়ে খোঁচা মেরে সংবাদ মাধ্যম কিংবা সামাজিক মাধ্যমে কথা বলাটাও তাদের ঠিক নয় বলে মনে করছেন শোবিজের অনেকে।