চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের রাজত্ব চলছে। যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় দুর্নীতিতে দ্বিতীয় স্থান হয়েছে। এটা বাংলাদেশী জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত কলঙ্কজনক। সরকার বেসামাল হয়ে বিদ্যুতের মূল্য আবারো বৃদ্ধি করেছে। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম আবারও হুহু করে বাড়ছে।বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা মামলা, অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন বন্ধ এবং কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশ গ্রহণে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া আর কোন পথ নেই। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম দফায় দফায় বাড়ছে, প্রত্যেকটি জিনিসের মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণ সীমাহীন দুর্ভোগকে পড়েছে। ব্যাংকে গেলে মানুষকে টাকা দিতে পারেন না। লুটপাটের কারণে ব্যাংক খালি হয়ে গেছে। এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, মানুষের প্রতি এদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারী) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবীতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী কেন্দ্রঘোষিত বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে চট্রগ্রাম বিভাগীয় বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে হবে। চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন বেগবান করার লক্ষ্যে ও এই সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসনের প্রতিবাদে মহানগর যুবদলকে মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগদান করার প্রস্তুতি নিতে হবে। অবিলম্বে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, যুবদল নেতা মুসাসহ সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বাংলাদেশের মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন গ্যাস ও বিদ্যুতের অতিরিক্ত দাম নিয়ে সংসারের হিসাব সমন্বয় করতে তারা গলদঘর্ম হচ্ছেন। গত একবছরে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, বহু পরিবারে শুধু বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল বাবদ খরচ ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন সীমিত আয়ের মানুষ। আওয়ামী সন্ত্রাস, সরকারের নির্যাতন, রাজবন্দীদের মুক্তি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের কমানোর জোর দাবী জানাচ্ছি।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, আওয়ামীলীগের আর সময় নেই। নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তীসহ যুবদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে কোন কিছুতেই আন্দোলন থামানো যাবে না। চলমান আন্দোলন সর্বত্র চলছে, চলবে। আরও হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার করলেও শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, যুবদল নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে কারাগারে নিলেও আন্দোলন বন্ধ হয়নি বরং আরো তীব্রতর হয়েছে। শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন কেউ বন্ধ করতে পারবে না।