চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এই সরকার বাংলাদেশকে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকা দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে গেছে। এতে বুঝা যায় একটি দেশে সরকার কি পরিমান দুর্নীতিগ্রস্ত হলে দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিতীয় হয়। এটা দক্ষিণ এশিয়ার দুর্নীতিগ্রস্ত দুর্নীতির স্কোরে বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত লজ্জাজনক। গতকাল (টিআইবি) কার্যালয়ে মঙ্গলবার সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য তুলে ধরেন। আমরা বারবার বলে আসছি এই সরকার একটি দুর্নীতিবাজ সরকার। এই সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। জনগণের অর্থ লুটে পুড়ে খেয়েছে। এই সরকারের দুর্নীতির কারণে আজ ব্যাংক খালি হয়ে গেছে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন জনগণের উন্নয়ন হবে না। গত ১৪ বছরে জনগণের কোন ভাগ্য উন্নয়ন হয়নি। শুধুমাত্র এই সরকার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভাগ্য উন্নয়ন হয়েছে। তাই এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন নয়। এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। তিনি আজ ০১ ফেব্রুয়ারি, বুধবার, দুপুরে আগামী ৪ঠা ফেব্রুয়ারী দেশব্যাপী আওয়ামী সন্ত্রাস এবং সরকারের দমন—নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে,বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে এবং ১০ দফা এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবীতে চট্রগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে আদালত চত্বর ও কোর্ট হিল এলাকায় লিফলেট বিতরণ কালে একথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, এই সরকারের চোখ জনগণের পকেটের দিকে। আজ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বিদ্যুতের আরেক দফা মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার জনগণের পকেট কাটা শুরু করেছে। জনগণকে এই মাস থেকে বর্ধিত বিল প্রদান করতে হবে। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে কৃষি খাতে এর প্রভাব পড়বে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সহ কাঁচা সবজি, ফলমূল ইত্যাদির মূল্য আবারো হু হু করে বেড়ে যাবে। রমজান আসার আগেই বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার জনগণকে দুর্ভোগে ফেলে দিয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন,গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে চট্রগ্রাম বিভাগীয় বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে হবে। এই সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসনের প্রতিবাদে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের মানুষকে এ সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জবাব দিতে রাজপথে নামতে হবে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ স্মরণকালের সমাবেশে পরিণত করতে চাই। তাই আমরা জনগণের দাবি নিয়ে রাজপথে আছি, রাজপথেই আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাব।
লিফলেট বিতরণ কালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট এনামুল হক, এডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়া, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, এডভোকেট তারিক আহমেদ, এডভোকেট সাত্তার সারোয়ার, এডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, এডভোকেট হাসান আলী, অ্যাডভোকেট এস.ইউ নুরুল ইসলাম, এডভোকেট ইফতিকার মহসিন, এডভোকেট ছৈয়দুল আমিন, এডভোকেট এম আনোয়ার হোসেন, এডভোকেট নেজাম উদ্দিন, এডভোকেট মাহমুদুল আলম চৌধুরী মারুফ, এডভোকেট জাহিদ বিন রশিদ প্রমূখ আইনজীবী।
এই সরকার বাংলাদেশকে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকা দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন