পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) থেকে নির্দেশনা এলেও ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ফিরে যেতে হচ্ছে না বিপিএলে অংশ নেয়া পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। বরং পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অনুমতিসাপেক্ষে, ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্রিকেটারদের ধরে রাখতে পারবে বিপিএলের দলগুলো। যদিও তাদের দাবি, এ নিয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা পায়নি বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি।
বিপিএল নবম আসরে খেলছেন মোট ২৫ পাকিস্তানি ক্রিকেটার। সর্বোচ্চ ৫ জন আছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে। ৪ জন করে খেলছেন রংপুর, খুলনা আর ঢাকায়। সিলেট ও বরিশালে জার্সিতে প্রতিনিয়ত মাঠ মাতাচ্ছেন ৩ জন করে। চট্টগ্রামে খেলছেন ২ জন। তবে হঠাৎ করেই পিসিবির এক ঘোষণায়, শঙ্কা বেড়েছে বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর।
১৩ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে পিএসএল। গুঞ্জন টুর্নামেন্টের আগে ক্রিকেটারদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাকিস্তানের সব ক্রিকেটারকে ফিরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে পিসিবি। আর তাইতে জৌলুস কমার সঙ্গে রং হারানোর শঙ্কা বিপিএলের। তবে এ নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো নির্দেশা পায়নি বিপিএলের দলগুলো।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সহকারী কোচ হুমায়ুন কবির শাহীন বলেন, ‘এখনও আমাদের কাছে অফিশিয়াল কোনো নির্দেশনা আসেনি যে খেলোয়াড়দের কবে জেতে হবে। তবে আমাদের প্রস্তুতি চলছে।’
এদিকে ফরচুন বরিশালের টিম ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ শিপন বলেন, ‘পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা চলে গেলে সমস্যা তো অবশ্যই হবে। তবে আমরা চেষ্টা করছি বাইরের দেশ থেকে খেলোয়াড় আনার।’
তবে বসে নেই দলগুলো। ইতোমধ্যে তারা যোগাযোগ শুরু করেছে পিসিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে। জানা গেছে, সেখান থেকে অনুমতি মিললে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খেলোয়াড়দের ধরে রাখতে পারবেন বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তবে শঙ্কা থাকলেও পরিস্থিতি মেনে নিতে হচ্ছে দলগুলোকে।
সাজ্জাদ আহমেদ শিপন বলেন, ‘পিসিবি আমাদের এটাও জানিয়েছে, যদি আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে কথা বলি তাহলে খেলোয়াড়রা আরও দু-একটা ম্যাচ বেশি থাকতে পারবে।’
বেশি ক্রিকেটার থাকায় কিছুটা হলেও সমস্যায় ভুগবে কুমিল্লা আর বরিশাল। তাইতো এরই মধ্যে ব্যাকআপ ক্রিকেটার নিতে তোড়োজোড় শুরু করে দিয়েছে দলগুলো। এ ক্ষেত্রে সমস্যায় পরতে হচ্ছে না চট্টগ্রামকে। তাদের দুই পাকিস্তানি আর দল পায়নি পিএসএলে।