চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মানুষ্যত্বের পরিপূর্ণতা সাধানে, ব্যক্তির সর্বতোমুখী বিকাশে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষা ছাড়া ব্যক্তির চিন্তা শক্তি, মুক্তবুদ্ধি ও যৌক্তিক আচরণের উম্মেষ ঘটে না। ৭১’ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে সংবিধানের ১৫ ধারায় শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার এবং ১৭ ধারায় গণমুখী ও সর্বজনিন শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। ৭৫’র ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংষভাবে হত্যার পর দেশের আর্থ সামাজিক-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও শিক্ষা ক্ষেত্রে চরম বিপর্যয় নেমে আসে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির পুনঃ উম্মেষ ঘটে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ক্রমে অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে থাকে। শিক্ষা সহ মানব উন্নয়নের সকল উপাদান পণ্যে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযেগ্য নেতৃত্বে বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য শিক্ষক সমাজকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আজ শনিবার বিকালে চন্দনাইশ উপজেলার বরকল ইউনিয়নের আবদুল হাই আনোয়ারা বেগম স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল ওয়াহেদ মাহফুজের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সালাম, অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ সাব্বির আহমদ, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুলতান আহমদ, চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জাব্বার চৌধুরী, স্কুল প্রতিষ্ঠাতাদরে অন্যতম সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস শহিদ মাসুদ, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইদ্রিস, ফেরদৌস ইসলাম খান, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মনজুর আলম শাহিন, এড. জিনাত সোহানা, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল কবির প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, প্রবাসে জীবন যাপন করে ও শ্রম বিক্রি করে সে আয় থেকে দেশের মানুষের কল্যানে যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে তারা মহৎ অন্তরের মানুষ। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, বরকল বরমা একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা। এই এলাকায় মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাদী, যাত্রা মোহন সেন, ব্যরিস্টার যতীন্দ্র মোহন সেনের মত মনিষীদের জন্ম স্থান। ১৯৭১ সালে এই এলকা থেকে সারা দক্ষিণ চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। শহীদ মুরিদুল আলম এই এলকারই সন্তান। তিনি বলেন, এই এলকার মানুষ সব সময় রাজনৈতিক অঙ্গণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তিনি স্কুলের ছাত্রীদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশে-বিদেশে ও কর্মক্ষেত্রে যোগ্যতার পরিচয় প্রদানের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে বার্ষিক ক্রীড়া ও এস.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
শিক্ষা ছাড়া ব্যক্তির চিন্তা শক্তির উম্মেষ ঘটে না

সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন