বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে দু’দিন ব্যাপি (১৮-১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৩ শুরু হয়েছে। সকাল ১০:০০ টায় চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চবি শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জনাব আনিসুল আলম।
মাননীয় উপাচার্য তাঁর ভাষণে চবি কেন্দ্রীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ক্রীড়াবিদসহ উপস্থিত সকলকে স্বাগত ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, মানুষের কর্মশক্তির প্রধান উৎস হচ্ছে সুস্থ দেহ ও প্রফুল্ল মন। সবল স্বাস্থ্য যোগায় কর্মশক্তি এবং সুস্থ মন যোগায় কর্ম প্রেরণা ও উদ্দীপনা। শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি বলেন, কুসংস্কারমুক্ত মুক্তচিন্তার তরুণরাই পারবে একবিংশ শতাব্দীর বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে। মাননীয় উপাচার্য আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে তরুণদের শিক্ষা-গবেষণা, ক্রীড়া, শিল্প-সংস্কৃতিসহ বহুমাত্রিক দক্ষতা সম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। মাননীয় উপাচার্য দু’দিন ব্যাপি চবির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সাফল্য কামনা করেন এবং ক্রীড়াবিদসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে স্ব স্ব দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠাবান থাকার আহবান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতের সুর ও মুর্চ্ছনায় মাননীয় উপাচার্য জাতীয় পতাকা, মাননীয় উপ-উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা, স্ব স্ব হলের প্রভোস্ট হল পতাকা ও শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক অলিম্পিক পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় মশাল হাতে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন দুই কৃতি ক্রীড়াবিদ মোঃ রানা ও মাহজাবিন শুচি। মাননীয় উপাচার্য বিচারকবৃন্দের পক্ষে প্রধান বিচারক চ.বি. বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিনকে এবং ক্রীড়াবিদদের পক্ষে কৃতি ক্রীড়াবিদ তৃণাকে শপথ বাক্য পাঠ করান। ব্যান্ডের তালে তালে অনুষ্ঠিত ক্রীড়াবিদদের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ মাননীয় উপাচার্য ও অতিথিবৃন্দ উপভোগ করেন এবং তাদের অভিবাদন গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে চ.বি. সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, অনুষদসমূহের ডিনবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, হলসমূহের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট এবং গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, হলসমূহের আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক ক্রীড়ামোদী শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হলসমূহ হতে ছাত্রদের ১৮টি ইভেন্টে ১২৪ জন ক্রীড়াবিদ এবং ছাত্রীদের ১০টি ইভেন্টে ৪৫ জন ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। এছাড়াও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ৩টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষার্থী ক্রীড়াবিদদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি নিয়ে ‘কালারস একাডেমির’ পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ ডিসপ্লে।
চ.বি. শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক জনাব মো. রাশেদ বিন আমিন চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন চ.বি. কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব হাফেজ আবু দাউদ মুহাম্মদ মামুন, পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন সুব্রত বিশ^াস, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন অর্পণ চাকমা এবং পবিত্র বাইবেল থেকে পাঠ করেন মুক্তা ডিব্রা।
খেলাধুলা ও শিল্প-সংস্কৃতির সাথে সম্পৃক্ত তরুণরা দেশ-জাতির অমূল্য সম্পদ

সংবাদটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন