চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশ রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে। তারা এখন প্রশাসন, বিচার বিভাগ, রাষ্ট্রযন্ত্র, এমনকি গণমাধ্যমকেও নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে। জোর করে ক্ষমতায় ঠিকে আছে। রাষ্ট্রের মালিকানা আজ জনগণের হাতে নেই। এই রাষ্ট্রকে মেরামত ও পুনর্গঠন করতে হবে। আজকে দেশের মানুষ গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে আগামী ১১ জানুয়ারী বুধবার কেন্দ্র ঘোষিত গণ অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি চট্টগ্রামবাসীকে গণ অবস্থান কর্মসূচি সফল করার আহবান জানান।
তিনি সোমবার (৯ জানুয়ারী) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে আগামী ১১ জানুয়ারী বুধবার কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত গণ অবস্থান কর্মসূচি সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্ততি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামীলীগ নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের জনগণকে দাবিয়ে রাখছে। কিন্তু এসব করে আওয়ামীলীগের শেষ রক্ষা হবেনা। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন হতেই হবে। যদি নিরপেক্ষ সরকার না থাকে, বিএনপি সে নির্বাচন মেনে নেবে না।
কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, আওয়ামীলীগ এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধীতা করছে। কারণ আওয়ামী লীগ এখন সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়। তারা জানে আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তারা জিততে পারবে না। তাই তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাটাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই সরকার থাকলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। তাই ফয়সালা হবে রাজপথে। রাজপথে যখন নেমেছি, আদায় করে ছাড়বো। তাদেরকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে বাধ্য করবো।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, মহিলাদলের জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, আবদুস সাত্তার সেলিম, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর বিএনপি নেতা গাজী আইয়ুব আলী, হামিদ হোসাইন, দিদারুল আলম, মো. বখতেয়ার, ইউছুপ জামাল, একেএম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, ইদ্রিস আলী, আজাদ বাঙ্গালি, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, আবদুল আজিজ, আলী আজম চৌধুরী, ইউছুপ শিকদার, মহানগর শ্রমিকদলের সভাপতি তাহের আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সরকার, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, ওলামাদলের আহবায়ক মাওলানা শহীদুল্লাহ চিশতী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সি. সহ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সি. যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, মহিলাদলের গোলজার বেগম, ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, হাজী নবাব খান, আবদুল্লাহ আল ছগির, ইসমাইল বালী, হাজী মো. ইলিয়াছ, জমির আহমদ, মন্জুর আলম মন্জু, ইলিয়াছ চৌধুরী, জানে আলম জিকু, ফারুক আহমদ, মো. ইলিয়াছ, এড. আবুল কাশেম মজুমদার, মো. বেলাল, এস এম ফরিদুল আলম, মো. আসলাম, এড, এফ এ সেলিম, শরিফুল ইসলাম, হাজী মো. মহসিন, এস এম জামাল উদ্দিন জসিম, খাজা আলাউদ্দিন, আশরাফ উদ্দিন, শায়েস্তা উল্লাহ চৌধুরী, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, সাব্বির আহম্মেদ, এম এ হালিম বাবলু, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, সাদেকুর রহমান রিপন, ফরিদুল আলম চৌধুরী, নাসিম আহম্মেদ, হাজী আবু ফয়েজ, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, আলী হায়দার, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, মো. হাসান, হাজী মো. জাহেদ, মনজুর কাদের, ফিরোজ খান, মো. হাসান, মুজিবুর রহমান প্রমুখ।