প্রায় তিন বছর পর বুধবার কেরাং-রাসুওয়াগাধি সীমান্ত বন্দর দিয়ে নেপাল ও চীনের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য শুরু হয়েছে। যদিও রপ্তানি পণ্য মঙ্গলবার থেকে চীনে যাওয়া শুরু হয়েছে, তবু এর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় বুধবার। লাসা-ভিত্তিক কনস্যুলেট জেনারেল নওরাজ ডাকাল এ তথ্য দিয়েছে বলে খবর দিয়েছে অনলাইন কাঠমান্ডু পোস্ট। এতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স অব সিঝাং অটোনোমাস রিজিয়ন, লাসা কাস্টমস, জেনারেল স্টেশন অব ইমিগ্রেশন ইন্সপেকশন অব সিজাং অটোনোমাস রিজিয়ন, হেলথ কমিশন অব সিজাং অটোনোমাস রিজিয়ন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের আরও কিছু প্রতিনিধি। কাঠমান্ডু ভিত্তিক চীনা দূতাবাস এই অনুষ্ঠানের ছবি প্রকাশ করেছে। সঙ্গে তারা বলেছে, নেপাল থেকে আরও পণ্য আমদানি করতে চায় চীন। অনুষ্ঠানের পর নেপালি পণ্যবোঝাই ৬টি কার্গো ট্রাক ওই বন্দর অতিক্রম করে চীনে প্রবেশ করে। রাসুওয়া কাস্টমসের প্রধান কর্মকর্তা নারায়ণ প্রসাদ ভান্ডারি বলেছেন, মঙ্গলবার ৫০ লাখ রুপির পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে।
চীনা দূতাবাস বিবৃতিতে বলেছে, কয়েক বছরে কেরুং বন্দর অব্যাহতভাবে অবকাঠামোর উন্নয়ন করে যাচ্ছে এবং তাদের কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বাণিজ্য দ্রুততর হয়েছে। এই বন্দর দিয়ে ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে মোট আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য হয়েছে ১৪৭১ কোটি ইয়েন।
এই স্থলবন্দরটি দুই দেশের মধ্যেই রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি অংশ হয়ে আছে।
বন্দরটির আনুষ্ঠানিক অপারেশন শুরু হয় ১৯৬১ সালে। একে চীনের প্রথম পর্যায়ের বন্দর হিসেবে ১৯৮৭ সালে স্বীকৃতি দেয়া হয়। অর্থবছর ২০১৯ থেকে ২০২০ সময়ের মধ্যে এই বন্দর দিয়ে চীনে রপ্তানি করা হয়েছে ৭৬ কোটি ৩০ লাখ রুপির পণ্য। করোনা মহামারির কারণে বন্দরটি বন্ধ ছিল। চীনের অনুরোধে কেরুং বন্দরে একমুখী ফ্রেইট ক্লিয়ারেন্স ফের চালু করা হয় ২০২০ সালের এপ্রিলে। এই বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি করছে প্রায় ১৫০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।