চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই এখন মামলা হয়। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদকে বিরুদ্ধে দুদকের হয়রানি মুলক মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। মিথ্যা ও গায়েবী হয়রানি মুলক মামলা দিয়ে কোন লাভ হবে না। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। সরকারকে এবার বিদায় নিতে হবে। সরকার বুঝতে পেরেছে, তাই সরকার মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনসহ শতাধিক নেতা—কর্মীকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে হবে। তিনি তিনি আজ ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে নাসিমন ভবনে নগর মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদিকা জেলি চৌধুরীর সার্বিক সহযোগিতায় গরিব অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, দেশের অর্থনীতি চরম সংকটে। সাধারণ মানুষ অসহায়। প্রতিটি জিনিসের মূল্য আজ দিগুন থেকে তিনগুনি উঠেছে। দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ আজ নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছে। জনগণের কল্যাণে কাজ হচ্ছে না মেগা প্রকল্পের নামে মেঘা দুর্নীতি করছে। এই সরকার জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে নয়,নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, এই দেশে আইনের শাসন নেই। গণতন্ত্রহীনভাবে চলছে এই অবৈধ সরকারের সকল কর্মকান্ড। সরকার বেপরোয়া ভাবে জনগণের সকল অধিকার খর্ব করছে।মিথ্যাচার, দূর্নীতি ও অনাচার যত বাড়ছে ততই তারা জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান নগর মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদিকা জেলি চৌধুরী সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন চৌধুরীর লিটন, আব্দুল মান্নান, সদস্য কামরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা শহিদ মোহাম্মদ চৌধুরী শহিদ, দিদারুল আলম দিদার, মহিলা দলনেত্রী কামরুন নাহার লিজা, তাসলিমা আহমেদ, শামসুন্নাহার, ফরিদা ইয়াসমিন, অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার সানজি প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।